একুশে বইমেলা

বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হবে এবারের বইমেলা

এবারের একুশে বইমেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। তিনি বলেন, এবারের বইমেলা হবে আমাদের চেতনা এবং স্বপ্নের অংশ। সেই চেতনা এবং স্বপ্নকে প্রতিভাত করার জন্য এবারের বইমেলা আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করব।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা- ২০২০ নিয়ে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবারের বইমেলা আমাদের চেতনার অংশ। সেই চেতনা এবং স্বপ্নকে প্রতিভাত করার জন্য আমরা জাতির পিতাকে এ বইমেলা উৎসর্গ করলাম। আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি সৃজনশীলতার সমন্বয়ে মেলাটি চলবে। প্রতিদিন যে আলোচনা অনুষ্ঠান হবে সেটা বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে। এবারের বইমেলায় ‘আমার দেখা নয়া চীন’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা নানা মাপে, নানা মাত্রে বঙ্গবন্ধুকে ধরার চেষ্টা করব। আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভাবলে ভাবি ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত। কিন্তু উনি কত বড় মাপের লেখক ছিলেন তা কেউ বলেন না। সেটি বাংলা একাডেমি করবে। আমরা নির্ভরশীল বই আপনাদের উপহার দেব। আগামী বাংলাদেশ গড়ার জন্য এ বই পড়া অত্যন্ত জরুরি।

Advertisement

বাংলা একাডেমির সদস্য সচিব জালাল উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে এবারের বইমেলা উৎসর্গ করছি। এ ক্ষেত্রে বিশাল ব্যাপার হলো, আমরা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাচ্ছি। এবারের বইমেলা বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে যেভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে, ইতিহাসে তা আগে কখনো করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ১৩ জানুয়ারি লটারির কাজ শেষ করেছি। গতকাল (বুধবার) স্টল নির্মাণের কাজ শেষ। ১ তারিখ (শনিবার) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বই নিয়ে মেলায় প্রবেশ করা যাবে। কালও (শুক্রবার) করা যাবে। ২ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার পর উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়াও এবারের মেলায় ‘বঙ্গবন্ধু পাঠাগার স্থাপন’ করা হবে। যেখানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা অসংখ্য বই পাওয়া যাবে।

বইমেলায় এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ৪ ভাগে শিখর, সংগ্রাম, মুক্তি ও অর্জন নামে ভাগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মেলায় প্রবেশ ও বাহিরের জন্য দুটি গেট থাকবে। নামাজ পড়ার ও টয়লেট ব্যবস্থাপনা থাকবে উন্নত। অন্যদিকে ব্রেস্ট ফিডিং ও হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। দুটি ফুড কোর্ট থাকবে উদ্যানের পশ্চিম এবং পূর্ব পাশে। এছাড়া করোনাভাইরাসের বিষয়ে সচেতন থাকবে স্বাস্থ্য বিভাগ।

Advertisement

আরএস/জেআইএম