আন্তর্জাতিক

চীনে ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা ইন্ডিগো-এয়ার ইন্ডিয়ার

চীনে ফ্লাইট বাতিল করছে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স এবং এয়ার ইন্ডিয়া। বুধবার ইন্ডিগো জানিয়েছে, চীনে ব্যাপকহারে নভেল করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় তারা ব্যাঙ্গালুর-হংকং রুটে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিমানের ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া আগামী ১ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইন্ডিগোর দিল্লি -চেংদু রুটেও ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।

Advertisement

একই রকম সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়াও। সংস্থাটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা জানুয়ারি ৩১ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দিল্লি সাংহাই রুটে বিমান চলাচল বন্ধ রাখবে।

ইন্ডিগো এটাও পরিষ্কার করেছে যে, কলকাতা-গুয়াংঝুর মধ্যে আপাতত ফ্লাইট চালু থাকবে। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আমাদের ক্রু সদস্যদের জন্য এটা নিশ্চিত করছি যে, কোনো ফ্লাইটে গিয়ে তাদের চীনে থাকতে হবে না। তারা পরের বিমানেই দেশে ফিরে আসবেন।

Advertisement

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। চীন ছাড়াও ১৯টি দেশের অন্তত ৯১ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ পর্যন্ত চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, হংকং, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ইসরায়েলেও এক রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এ ভাইরাসের নাম দিয়েছে ২০১৯ নভেল করোনাভাইরাস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে চীনে সফর করেছেন এমন লোকজনের মাধ্যমেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। সে কারণে অনেক দেশই এ ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন সফরে নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

এদিকে, প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। একে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন তারা।

Advertisement

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী?

এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা লাগে। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে।

সেক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনও অজানা। তবে নতুন এই করোনাভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ থেকে এটি মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে।

টিটিএন/জেআইএম