স্বাস্থ্য

চীনের উহান থেকে দেশে ফেরার পর করণীয়

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার, উহানবাসী এবং বেইজিং এম্বাসি আমাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আমরাও নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে চাই। তবে এসময়ে দেশে ফিরে যাওয়ার পূর্বে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে :

Advertisement

১) চায়না থেকে বের হওয়ার পূর্বেই ১০০% নিশ্চিত হওয়া আমরা কেউ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত নই।

২) বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে দেশে সবাইকে পুনরায় পরীক্ষা করা। পরীক্ষার প্রয়োজনে যদি আমাদের বিমানবন্দরে ২, ৫, ৭, ১০, ১৪ দিনও থাকতে বলা হয় তাহলে ধৈর্য সহকারে সেখানে থাকা। তবে দেশে ফেরার পূর্বে অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে এটা নিশ্চিত করতে হবে তারা আমাদের থাকার জন্য সুব্যবস্থা করবেন এবং এজন্য আমরা অবশ্যই টাকা প্রদান করব।

৩) এই পরীক্ষাচলাকালীন সময়ে কোনোভাবেই আগে বাড়ি পৌঁছাতে কোনোরকম তদবির করা যাবে না। কারণ, অস্ট্রেলিয়াতে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। উহান থেকে যাওয়া ওই যাত্রী এ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল, কিন্তু বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সময় ধরা পড়েনি। অস্ট্রেলিয়ার মতো বিমানবন্দরে যদি তাৎক্ষণিকভাবে ধরতে না পারে তাহলে আমাদের বিমানবন্দরে কী হবে এটা ভাবার বিষয়!

Advertisement

লেখকের সেলফি

৪) আরও একটা বিষয় মনে রাখতে হবে শুধু জোশের সাথে ভাবলে হবে না, হুঁশের সাথে ভেবেচিন্তে কাজ করতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

৫) সন্দেহ নেই আমাদের দেশে এখনও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তাই আমরা যখন একসাথে ৩০০-৪০০ মানুষ দেশে ফিরব তখন সঠিকভাবে কোয়ারানটাইন করা হবে কি-না এটা নিশ্চিত করতে হবে।

এবার আসি কোয়ারানটাইনের কথায়। আমরা দেশে ফেরার সময় যখন সবাই বিমানবন্দরে যাব তখন চীনা নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের ইন্টারেকশন হবে। তাই ওই দিন থেকে নতুন করে আবার ১৪ দিনের জন্য কোয়ারানটাইন শুরু করতে হবে। আমরা যারা বাচ্চা এবং পরিবার নিয়ে ফিরব তাদের জন্য সুব্যবস্থা এবং পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শেয়ালের খাঁচা থেকে বাঘের খাঁচায় ঝাঁপ দেওয়ার মতো যেন না হয়!

Advertisement

আমার পরিচিত একজন উহান থেকে দেশে ফিরেছেন এই মাসের ২২ তারিখ রাতে। ওনার সঙ্গে কথা হলো এবং উনি জানালেন সামাজিকভাবেও কিছুটা হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে। কারণ ওনাকে অনেকেই বলছেন, তুমি উহান ভাইরাস (করোনা) নিয়ে আসছ নাকি! তাই আমাদেরকে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে।

এসএইচএস/পিআর