গত দুই সপ্তাহে দেশের সব জেলায় চীন থেকে আগত নাগরিকদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং সিভিল সার্জনদেরকে এ তালিকা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে করোনাভাইরাস কন্ট্রোল রুমে দিক-নির্দেশনামূলক এক বৈঠক থেকে এ নির্দেশনা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, পরিচালক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডিরেক্টর, সিডিসি, পরিচালক আইইডিসিআর (রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আই ডি সি আর এর অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
বুধবার আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
সভা থেকে সিভিল সার্জনদের করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি অবহিত করে এর সংক্রমণ রোধে করণীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে তা অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ বরাবর চীনে ভ্রমণ সংক্রান্ত করণীয় নির্দেশনা দেয়া হয়। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বরাবর চীনে এ সময় ব্যবসায়ীক ভ্রমণ সংক্রান্ত করণীয় নির্দেশনা দেয়া হয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়ে বলা হয়, এ পর্যন্ত বিমানবন্দরে চীন থেকে আগত স্ক্রিনিং করা যাত্রীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৪৮ জন। বিমানবন্দরে সন্দেহজনক রোগী মেলেনি। আইইডিসিআর এর হটলাইনে মোট কল সংখ্যা ৫৩। আইরিসের হটলাইনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত মোট কল সংখ্যা ৯। নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা পাওয়া যায়নি।
এমইউ/এমএসএইচ/এমএস
Advertisement