জাতীয়

খিজির হত্যাকাণ্ড : একই কায়দায় খুন হন ফারুকী

রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খানকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তরা খিজির খানের হাত-পা মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে। একইভাবে ২০১৪ সালের ২৭ আগস্টে হত্যা করা হয় টেলিভিশনের ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে। ওই একই কায়দায় হাত-পা বেঁধে পরিবারের সামনে জবাই করে হত্যা করা হয় তাকেও।তবে সেই হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো অজানা। ফারুকী হত্যা মামলার ঘটনায় এপর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও তাদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শুধুমাত্র হত্যার কারণ হিসেবে ‘ধর্মীয় মতাদর্শগত পার্থক্যের কথা বলেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তারা।’এই হত্যাকাণ্ডের ১৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তদন্তে সন্তোষজনক অগ্রগতি নেই পুলিশের। আসল অপরাধীদের গ্রেফতারতো দুরের কথা তাদের শনাক্তের কাজটিও হয়নি এখনো। অবশেষে এবছরের আগস্ট মাসে তদন্তভার দেয়া হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)।ফারুকীর ‘ধারাবাহিকতায়’ সোমবার রাজধানীতে খিজির খানকে হত্যা করা হয়ছে। প্রাথমিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ‘ধর্মীয় মতাদর্শগত’ ধারণা করলেও এবিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন পুলিশের কোনো কর্মকর্তা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক এই চেয়ারম্যান রহমতিয়া খানকা শরিফ পরিচালনা করতেন। তার বেশকিছু মুরিদ-ভক্তও ছিল।এই দুই হত্যাকাণ্ডে আসলেই কোনো যোগসূত্র আছে কী-না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘কারা কী উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফারুকী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এর যোগসূত্র তদন্তের পরই জানা যাবে।’এঘটনায় সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টা পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি জঙ্গিবাদী কোনো সংস্থা।এআর/বিএ

Advertisement