মঞ্চকর্মীদের প্রাণের মানুষ ছিলেন অভিনেত্রী ও নির্দেশক ইশরাত নিশাত। গত ১৯ জানুয়ারি মাত্র ৫৬ বছর বয়সে সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি জুড়ে রয়েছে নিশাতের অনেক স্মৃতি। প্রিয় এই মানুষটিকে মনে রাখতেই শিল্পকলার জাতীয় নাট্যশালার সামনের অংশকে ‘নিশাত চত্বর’ ঘোষণা করে নামফলক ঝুলিয়েছেন মঞ্চশিল্পীরা।
Advertisement
ইশরাত নিশাতের মৃত্যুর পর জাতীয় নাট্যশালার সামনে অংশকে ‘নিশাত চত্বর’ ঘোষণার প্রথম দাবি তুলেছিলেন মঞ্চ বিষয়ক কাগজ ‘ক্ষ্যাপা’র সম্পাদক পাভেল রহমান। পরে এ দাবির সঙ্গে থিয়েটার অঙ্গনের অনেকেই একাত্মতার কথা জানান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মঞ্চকর্মীদের দাবিতেই নাট্যশালার সামনের অংশকে ‘নিশাত চত্বর’ ঘোষণা করা হয়।
ইশরাত নিশাত প্রয়াত অভিনেত্রী নাজমা আনোয়ারের মেয়ে। তিনি ‘দেশ নাটক’ থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে দেশ নাটকের নির্দেশক ও নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, ‘আমরা যেখানে নিশাতের নামফলক বসিয়েছি এটি সরকারি জায়গা, তাই সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত অফিসিয়ালি চত্বর ঘোষণা করা যায় না।
একটি নামফলক গাছে ঝোলানো হয়েছে। এটি করা হয়েছে থিয়েটার ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। আমরা চাই, জায়গাটি ‘নিশাত চত্বর’ নামে পরিচিতি পাক। সরকারিভাবে স্বীকৃতির জন্যও আমরা আবেদন করব। তবে তারও আগে আমরা এ চত্বরের নামটি ছড়িয়ে দিতে চাই।’
Advertisement
সম্প্রতি শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটারে নিশাত স্মরণে শোকাঞ্জলির আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে নিশাতকে নিয়ে লেখা শোক বক্তব্য পাঠ করেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। এছাড়া বক্তব্য দেন গোলাম কুদ্দুছ, আতাউর রহমান, শিমূল ইউসুফ, আজাদ আবুল কালাম, ঠাণ্ডু রায়হান প্রমুখ। আবৃত্তি করেন আহকাম উল্লাহ।
এদিকে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে এ শোকাঞ্জলিতে নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘আমরা নানা কারণে সাহস করে সত্য কথাটা বলতে পারি না। অনেক সময় আপোষ করে চলতে হয়। নিশাত কখনও আপোষ করতো না। তরুণ নাট্যকর্মীদেরকে নিশাতের মতো সাহসী হতে হবে।’
এমএবি/এলএ/পিআর
Advertisement