আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাস : সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ব্যাংকক

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। কারণ দেশটিতে অনেক বেশি চীনা নাগরিক ভ্রমণ করেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, লস অ্যাঞ্জেলস, নিউ ইয়র্ক এবং লন্ডনও ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে ব্যাংকক।

Advertisement

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, চীন থেকে ঘাতক করোনাভাইরাসের ঝুঁকি ব্যাংককে সবচেয়ে বেশি। কারণ চীন থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ ব্যাংককে যাওয়া-আসা করে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউথাম্পটনের শিক্ষাবিদরা বুধবার ভ্রমণের বিষয়ে একটি তথ্য প্রকাশ করে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। ওই ভ্রমণ তথ্য অনুযায়ী কোন কোন দেশ করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ঝুঁকিতে রয়েছে সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, লস অ্যাঞ্জেলস এবং নিউ ইয়র্ক এ তালিকায় ২০তম স্থানে রয়েছে। গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে লন্ডন।

Advertisement

তালিকায় প্যারিসের অবস্থান ২৭ এবং ফ্রাঙ্কফুট ৩০। ইতোমধ্যে ফ্রান্স এবং জার্মানিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যে পাঁচজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে কারো এ ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

ব্যাংককের ইউনিভার্সিটি ওয়ার্ল্ডপপ টিম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, থাইল্যান্ড সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ১৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

এই ভাইরাস বিপজ্জনক হয়ে উঠছে; কারণ এ বিষয়ে এখনও ভালোভাবে জানা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে এ ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক এবং এটা একজন থেকে আরেকজনের শরীরে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এ বিষয়গুলো এখনও পরিষ্কার নয়।

Advertisement

এখন পর্যন্ত এটা জানা সম্ভব হয়েছে যে, এ ভাইরাস থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এটা অনেক ভয়াবহ হতে পারে। অপরদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষমতা আরও প্রবল হচ্ছে এবং সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।

চীনের গণমাধ্যম সিনহুয়ায় এক বিশেষজ্ঞের বরাতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ আকার ধারণ করতে পারে। চীন ছাড়াও ১৮টি দেশের ৭৮ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

টিটিএন/জেআইএম