চীনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ১৩২ জন মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ছয় হাজার।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে চীনে একটি স্টোর বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপল। একই সঙ্গে চীন ভ্রমণের ক্ষেত্রেও সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপল জানিয়েছে, চীনে তাদের ভোক্তার সংখ্যা কমে গেছে। লোকজন এখন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। এছাড়া কর্মীদের এই ভাইরাসে আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকায় তারা স্টোর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।
উহান এবং চীনের অন্যান্য শহরে যেখানে নিজেদের কর্মীরা রয়েছে তাদের মধ্যে কেয়ার কিট সরবরাহ করছে অ্যাপল।
Advertisement
এর আগে অপ্রয়োজনে চীন ভ্রমণে কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিজেদের কর্মীদের ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে যেসব কর্মী বর্তমানে চীনে অবস্থান করছেন তাদের বাড়িতে বসেই কাজ করতে বলেছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র বলেন, আমাদের কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।
এই ভাইরাস বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। কারণ এ বিষয়ে এখনও ভালোভাবে জানা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে এ ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক এবং এটা একজন থেকে আরেকজনের শরীরে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এ বিষয়গুলো এখনও পরিষ্কার নয়।
এখন পর্যন্ত এটা জানা সম্ভব হয়েছে যে, এ ভাইরাস থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এটা অনেক ভয়াবহ হতে পারে। অপরদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষমতা আরও প্রবল হচ্ছে এবং সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
Advertisement
চীনের গণমাধ্যম সিনহুয়ায় এক বিশেষজ্ঞের বরাতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ আকার ধারণ করতে পারে। চীন ছাড়াও ১৮টি দেশের ৭৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
টিটিএন/জেআইএম