শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের ছোট সন্দীপ গ্রামে যৌতুক না দেয়ায় গৃহবধূকে বিষ পান করিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ৪ অক্টোবর রোববার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ছোট সন্দীপ গ্রামের আ. ছাত্তার খানের মেয়ে রিতা বেগম (২৫) ও একই গ্রামের গোলাম মোস্তফা সরদারের ছেলে মোয়াজ্জেম সরদারের (৩২) বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুরের পরিবার নিয়ে ঢাকার পুরাইল বিশ্ব রোড চৌরাস্তা ৮০নং বাড়িতে তারা ভাড়া থাকতেন। রিতাকে ঢাকা থেকে তার বাবার বাড়িতে আসতে দিতেন না তার স্বামী। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুক নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে রিতাকে মারধর করতেন তার স্বামী মোয়াজ্জেম সরদার। গত ৩ অক্টোবর রিতাকে তার বাবার জমি বিক্রি করে টাকা আনতে বলেন মোয়াজ্জেম। রিতা টাকা আনতে পারবে না বললে তার স্বামী মোয়াজ্জেম সরদার (৩২), শ্বশুর গোলাম মোস্তফা সরদার (৬০) ও শাশুড়ি ময়না বিবি (৫৬) রিতা বেগমের মাথার চুল কামিয়ে দেন। পরে পানির সঙ্গে বিষ পান করান। অবস্থা খারাপ দেখে মোয়াজ্জেমের বোন জামাই ও তার মা ময়না বিবি ৩ অক্টোবর শনিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ অক্টোবর রোববার সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পরে তারা মেডিকেলে থেকে পালিয়ে যান।এ ব্যাপারে নিহতের বাবা আ. ছাত্তার খান জাগো নিউজকে জানান, আমার মেয়েকে ওরা অনেক কষ্ট দিয়ে মারছে। আমার মেয়ের মাথার চুল ফালাইয়া দিছে। তারপর বিষ খাওয়াইয়া মারছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।এ ব্যাপারে নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বোনকে বিয়ের পর থেকেই ঢাকাতে রাখতো। বাড়িতে আসতে দিতো না । শুনতাম ওরে মারতো ওরা। এভাবে বিষ দিয়ে হত্যা করবে জানতাম না। ওরা আমার বোনকে মেরে মেডিকেলে রেখে যায়। তারপর আমাকে ফোন দেয়। ফোনে বলে তোর বোন মারা গেছে। ঢাকা মেডিকেল থেকে নিয়ে যা। আমরা ঢাকা মেডিকেলে যাই অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমার বোনের মরদেহ পাই। ৫ অক্টোবর সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসি। থানায় এখনো মামলা করি নাই। আমরা মামলা করবো।এ ব্যাপারে মোয়াজ্জেম সরদারকে বারবার ফোন করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। মো. ছগির হোসেন/এমজেড/আরআইপি
Advertisement