রাজধানীর গুলশানে একটি হাসপাতালে জ্বর ও সর্দি নিয়ে ভর্তি হওয়া সেই চীনা নাগরিক ভালো আছেন। আগের চেয়ে সুস্থতাবোধ করায় তিনি বাসায় ফিরতে ব্যাকুল হয়ে চিকিৎসকদের অনুরোধ জানাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি চীন ঘুরে আসায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা জানতে চীনা নাগরিকের লালা আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার সচিবালয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক চীনা নাগরিক বাংলাদেশে চাকরি ও ব্যবসার কাজে বাংলাদেশে বসবাস করেন। শীতকালে তাদের অনেকে সাধারণ জ্বর ও ঠান্ডা কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন। তাদের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে কারও কারও নমুনা ল্যাবে টেস্ট করা হচ্ছে।
আজ আরেক চীনা নাগরিক জ্বর ও সর্দি নিয়ে রাজধানীর আরেকটি হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে আইইডিসিআরে পাঠিয়ে লালা সংগ্রহ করেন।
Advertisement
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভয়ের কোনো কারণ নেই।
এমইউ/জেএইচ/এমকেএইচ