সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চীনের করোনাভাইরাস অন্তত ১৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার ৩২ বছর বয়সী এক থাই তরুণী জ্বর নিয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি হন। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
Advertisement
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ওই থাই তরুণীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২১ জানুয়ারি স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে তিনি কলকাতার ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। সন্দেহজনহ অবস্থা বিবেচনায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তরিত করে কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে ওই তরুণী থাইল্যান্ড থেকে নেপালে আসেন। এরপর সেখান থেকে আসেন ভারতে। প্রসঙ্গত, চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস যে ১৬টি দেশে ছড়িয়েছে তার মধ্যে থাইল্যান্ড ও নেপালও রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, ‘ওই থাই তরুণী গত ১৮ জানুয়ারি থেকে পেটের সমস্যা ও বমি বমি ভাবসহ জ্বরে আক্রান্ত হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২১ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালের জরুরি সেবা বিভাগে আসেন। তারপর তাকে নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।’
Advertisement
ভারতে অবস্থিত থাই কনস্যুলেট জেনারেলকে তাদের এক নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা মৃত ওই তরুণীর সব স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে থাইল্যান্ডে চীনের ওই রহস্যজনক ভাইরাসে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
এসএ/এমকেএইচ