আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাস : চীনগামী ট্রেন এবং নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা হংকংয়ের

হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যারি লাম বলেছেন, চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে হংকংয়ের দ্রুতগতির রেল সেবা আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে সব ধরনের আন্তঃসীমান্ত নৌ-সেবাও আপাতত স্থগিত থাকবে। চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

হংকংয়ে সবুজ মুখোশ পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের এই প্রধান বলেন, হংকং থেকে মূল ভূখণ্ড চীনে বিমানের ফ্লাইট অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চীনে হংকংয়ের বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত ভ্রমণও স্থগিত থাকবে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে মঙ্গলবার বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ফিলিপাইন। চীনা নাগরিকদের সাময়িকভাবে অন-অ্যারাইভাল টুরিস্ট ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।

মঙ্গলবার ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর প্রধান জাইম মোরেন্তে বলেছেন, ‘আমরা চীনা নাগরিকদের জন্য ভিসা ইস্যু সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়ছি। দু’দেশে যাতায়াত কমাতে এবং করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’

Advertisement

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী এই ভাইরানসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এর পর সময়ে সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। চীনে নতুন এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১০৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

মঙ্গলবার দেশটির সরকার নতুন করে এক হাজার ৩০০ জনের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছে। এ নিয়ে চীন-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫০০ জনে। চীনের বিভিন্ন শহর ছাড়াও থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে ২৪ জনের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সোমবার পর্যন্ত সেখানে এক হাজার ২৯১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই ভাইরাসের নাম দিয়েছে ২০১৯ নভেল করোনাভাইরাস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে চীনে সফর করেছেন এমন লোকজনের মাধ্যমেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। সে কারণে অনেক দেশই এই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন সফরে নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এনেছে।

Advertisement

এসআইএস/পিআর