বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মার। এ জুটিকে অনায়াসে সফলতমও বলা চলে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে দুজনেরই সাফল্য আকাশচুম্বী। ব্যাট হাতে ক্রিকেট মাঠে রাজা কোহলি আর নিজের অভিনয় দিয়ে বলিউড মাতান আনুশকা।
Advertisement
ফলে স্বভাবতই বিশ্বের সেলিব্রিটিদের মধ্যে অন্যতম ধনী এ জুটি। সম্প্রতি ফোর্বসের শীর্ষ ১০০ সেলিব্রিটির তালিকায় ১ নম্বর স্থানে উঠেছিলেন কোহলি আর আনুশকার অবস্থান ছিল ২১তম। মোট সম্পত্তির দিক দিয়েও অনেকের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে কোহলি-আনুশকা জুটি।
সম্প্রতি ভারতের সাময়িকী 'জিকিউ ইন্ডিয়া' প্রকাশ করেছে কোহলি ও আনুশকার মোট সম্পত্তির পরিমাণ এবং তাদের আয়ের উৎস। জিকিউয়ের প্রতিবেদন মোতাবেক গত বছর ২৫২.৭২ কোটি রুপি আয় করেছেন কোহলি আর আনুশকার আয় ছিল ২৮.৬৭ কোটি রুপি।
সব মিলিয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভারতীয় অধিনায়ক মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯০০ কোটি রুপি এবং আনুশকার প্রায় ৩৫০ কোটি রুপি। অর্থাৎ এ জুটির মোট সম্পত্তির প্রায় ১২৫০ কোটি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সমতুল।
Advertisement
কোহলির আয়ের উৎস সম্পর্কে জিকিউ জানিয়েছে, খেলার পাশাপাশি বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষকের মাধ্যমেই এত বেশি আয় করেন ভারতীয় অধিনায়ক। শুধু আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুই তাকে বছরে দেয় ১৭ কোটি রুপি আর জাতীয় দল থেকে তার আয় আরও ৭ কোটি রুপি।
এছাড়া মন্ত্র, উবার, অডি, এমআরএফ, মান্যবর, ওয়ান৮ এবং টিসটের মতো ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে থাকা চুক্তিতে তার আয় হয় আরও ১০০ কোটি রুপি। এসবের বাইরে নিজের দুটি রেস্টুরেন্টও রয়েছে কোহলির।
অন্যদিকে আনুশকা শর্মা তার প্রতি সিনেমা থেকে আয় করেন ১২ থেকে ১৫ কোটি রুপি। এখন পর্যন্ত ১৯টি সিনেমা করেছেন তিনি। ক্লিন স্টেট ফিল্মস নামের তার নিজের প্রোডাকশন হাউজও রয়েছে। এছাড়া মান্যবর, মন্ত্র, শ্যাম স্টিল, রজনীগন্ধ্যা, ল্যাভি, কক্স এন কিংস, নিভিয়া, প্যান্টিন, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাঙ্ক, গুগল পিক্সেল এবং এলে১৮সহ আরও অনেক বিজ্ঞাপনী চুক্তি রয়েছে আনুশকার।
কোহলি-আনুশকা দুজন মিলে অনেক মূল্যবার রিয়েল এস্টেত প্রোপার্টিরও মালিকানা বহন করেন। ২০১৭ সালের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর মুম্বাইয়ের উরলিতে প্রায় ৩৪ কোটি রুপি মূল্যের বাড়িতে থাকার শুরু করেছেন তারা। এছাড়া গুরগাওতে তারা প্রায় ৮০ কোটি রুপির প্রোপার্টি রয়েছে তাদের।
Advertisement
এসএএস/জেআইএম