হালকা-পাতলা মেয়েটি, বিয়ের পরে দেখবেন ওজন বেড়েই চলেছে। বছর না ঘুরতেই বেশ মোটাসোটা এক নারীতে পরিণত হন। অনেকেই মনে করেন, বিয়ের পরে নিয়মিত শারীরিক মিলনই এই ওজন বৃদ্ধির কারণ। আসলেই কি তাই? সুস্থ শারীরিক সম্পর্কের ফলে হার্ট ভালো থাকে, মানসিক চাপ কমে অনেকটাই। কিন্তু সত্যিই যদি এটি ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়, তবে মেয়েরা কি বিয়েতে উৎসাহী হবেন? নাকি এটি প্রচলিত ভুল ধারণা? চলুন জেনে নেয়া যাক, বিয়ের পরে মেয়েদের ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ-
Advertisement
হরমোনের পরিবর্তন: বেশিরভাগ চিকিৎসকই নিশ্চিত করেছেন যে, নিয়মিত শারীরিক মিলনের কারণে কেউ মোটা হয়ে যান না। কিন্তু শারীরিক মিলনের ব্যালান্সের অভাবের কারণে অনেক সময় শরীরে কিছু হরমোনের পরিবর্তন হয়। যা ওজনে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে শুধু শারীরিক মিলন নয়, অনেককিছুর উপর এই হরমোনের পরিবর্তন নির্ভরশীল। পিউবার্টি এজ, মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল, মেনোপজ- এর মতো বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। সেক্স হরমোনের কমা বা বাড়ার ওপর শরীরের ওজন নির্ভর করে অনেকটাই। ফলে ওজন বাড়তে থাকলে হরমোনের লেভেল ঠিক রয়েছে কিনা, একবার পরীক্ষা করিয়ে নিন।
ওজন বাড়ে ছেলেদেরও: বিয়ের পরে শুধু যে মেয়েদেরই ওজন বাড়ে, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় ওজন বাড়তে পারে ছেলেদেরও। আর বিয়ের পর নিয়মিত শারীরিক মিলনের কারণে মেয়েদের ওজন বাড়ে, এই ধারণা আসলে মিথ এবং সম্পূর্ণ ভুল। ওজন বাড়ার সঙ্গে দৈনন্দিন শারীরিক মিলনের কোনো সম্পর্ক নেই। বিয়ের পর রিলেশনশিপের সিকোওরিটি বা অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ওজন বৃদ্ধির বিষয়টি নির্ভর করে।
শারীরিক মিলনে ওজন কমে: শারীরিক মিলনে হার্ট ভালো থাকে, স্ট্রেস কমে এবং সবচেয়ে বড় কথা, এক্সট্রা ক্যালোরি খরচ হয়ে যায়। ফলে ওজন তো কমবেই। অন্তত দৈনিক শারীরিক মিলনে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে বলেই প্রমাণ হয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়।
Advertisement
ওজন যদি না কমে: ওজন কমানোর জন্য শারীরিক মিলনের প্রতি উদাসীন হওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সুন্দর রাখতে এর প্রয়োজন রয়েছে। বরং স্বাস্থ্যকর ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এইচএন/পিআর