জাতীয়

করোনাভাইরাস শনাক্তে সব বন্দরে স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভয়াবহ করোনাভাইরাস চিহ্নিত করতে দেশের সকল স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, স্ক্যানারের মাধ্যমে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা দেখে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

Advertisement

রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস রোধে আমরা জনসচেতনতার ব্যবস্থা করেছি। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাও ডেকেছি। বিমানবন্দরে যারা বিমানে আসবেন তাদের একটা ফরম দেয়া হবে। তারা ফরম পূরণ করে জমা দেবেন এবং একটি কার্ডও সঙ্গে নিয়ে যাবে। যাতে পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা যেন তাকে শনাক্ত করতে পারি। ইতোমধ্যে ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করেছি। সারাদেশে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন তিনি।

তৃণমূলের জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে- উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও যুপোপযোগী পদক্ষেপে স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। গ্রামের মানুষ ঘরে বসে জরুরি সেবা পাচ্ছে। এরপরও বর্তমানে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এই সংকট নিরসনে এ বছর সাড়ে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। ১৫ হাজার নার্স নিয়োগের অনুমোদন হয়েছে। শিগগিরই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। হাসপাতালগুলোতে প্রায় আট হাজার বেড বাড়ানো হবে। ২০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া হবে।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, দেশের বড় বড় ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ঢাকার বাইরে থেকে আসা লোকজন বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে। তাদের সহযোগিতার জন্য হেল্পডেস্ক স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হাসপাতালে পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়িয়ে পৃথক স্থানে করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মেডিকেল কলেজ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পুরোনো সব কমিউনিটি ক্লিনিক ভেঙে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন নতুন ডিজাইনের ভবন তৈরি করা হচ্ছে। হাসপাতালের বর্জ্য বাইরে না ফেলার ব্যাপারে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালকে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

এইচএস/বিএ/জেআইএম

Advertisement