অন্যান্য দিনের ন্যায় কাজে ব্যস্ত ছিলেন ইয়াজ শেখ। স্ত্রী নুরজাহান শেখের ডেলিভারির জন্য ৫ অক্টোবরের কথা জানিয়েছিলো চিকিৎসক। কিন্তু এর একদিন আগেই ইয়াজ শেখ স্ত্রীর প্রসব বেদনার খবর পান যখন ব্যস্ত ছিলেন কর্মক্ষেত্রে। স্ত্রীর প্রসব বেদনা দেখে ট্যাক্সিতে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন ইয়াজ। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর বুঝলেন, আর যাওয়া সম্ভব নয়। স্ত্রীর অবস্থা বেগতিক দেখে চিন্তায় পড়ে যান, ট্যাক্সিতেই হয়ত সন্তান জন্ম দেবেন নুরজাহান। বিপদের এই মুহূর্তে ট্যাক্সির চালক সামান্য সাহায্য করতেও নারাজ। প্রসূতির যন্ত্রণাও তাকে টলাতে পারেনি। বরং দুর্ব্যবহার করে ওই রাস্তার মধ্যেই দু’জনকে নামিয়ে দেয় ট্যাক্সিচালক।এদিকে, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন নুরজাহান। আশ-পাশে কোনো হাসপাতাল না থাকায় চিন্তায় পড়ে যান এ দম্পতি। এরপরে ঘটে যায় অন্য এক ঘটনা। একদল নারী ওই দম্পতিকে নিয়ে যান গণপতি মন্দিরে। পরে সেখানেই হিন্দু নারীদের সহায়তায় নুরজাহান জন্ম দেন এক পুত্র সন্তান। ভারতের বিজয়নগরের বাসিন্দা নুরজাহান ও ইয়াজ মুসলিম হলেও সদ্য জন্ম নেওয়া তাদের সন্তানের নাম রেখেছেন গণেশ। মুসলিম পরিবারে সদ্যজাতের এ রকম নামকরণে অনেকেই অবাক হয়েছেন। সেই মুহূর্তের উদ্বেগের কথা জানিয়ে ইয়াজ বলেন, প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম। আমার স্ত্রী যখন প্রসবের মুখে আর শুধু গণপতি মন্দিরটাই সামনে ছিল। আমরা যখন ট্যাক্সি থেকে নামলাম তখন দেখলাম মন্দিরের বারান্দায় কয়েকজন নারী বসে আছেন। তারাই এগিয়ে আসেন। নুরজাহান শেখ বলেন, যখনই মন্দির দেখতে পেয়েছিলাম, তখনই বুঝেছিলাম সৃষ্টিকর্তা আমাদের দেখবেন। আর তাই সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তানের নাম রেখেছি গণেশ।এসআইএস/আরআইপি
Advertisement