রাজনীতি

নির্বাচনী প্রচারণায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুরে রাজধানীর গোপীবাগে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। বেশ কিছু সময় পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিপক্ষের হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

যদিও সংঘর্ষ শেষে মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন নিজ বাসায় এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গণসংযোগ থেকে বাসায় ফেরার পথে তার উপর হামলা হয়। তার একজন কর্মীকে প্রতিপক্ষ আটকে রাখার অভিযোগ পেলে তিনি এগিয়ে গেলে হামলার মুখে পড়েন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, কেবল ইটপাটকেল না, তাদের দিকে গুলিও ছোড়া হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, এখন পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রচারণার ব্যাপারে আগে থেকে তাদের জানালে তারা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকতেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলায় ইশরাক সহ অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন। প্রচারণায় থাকা ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এহসানুল হুদা বলেন, আমরা মতিঝিল এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে টিকাটুলির দিকে ঢোকার পথে হঠাৎ করে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের উপর হামলা হয়। আমরা প্রতিহত করতে গেলে আমাদের উপর অন্তত কুড়ি রাউন্ডের মতো গুলি নিক্ষেপ করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর এই হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন এর পায়ে ইটের আঘাত লেগেছে। ইশরাকসহ আমাদের ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন। আমরা এখন ইশরাকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে গোপীবাগে অবস্থান করছি।

তিনি আরও বলেন, হামলার ঘটনার সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

কেএইচ/এসএইচএস/এমএস