অর্থনীতি

শ্রীলঙ্কাই হতে পারে ঔষধশিল্পের বড় বাজার

ঢাকায় নিয়োজিত শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার এ জি আবেসিকারা বলেছেন, ঔষধ শিল্পে বাংলাদেশের বড় বাজার হতে পারে শ্রীলঙ্কা। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঔষধ রপ্তানির পাশাপাশি সরকারিভাবেও রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।সোমবার মতিঝিলে বাংলাদেশে সফররত শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত (ডিসিসিআই) ‘বিজনেস ম্যাস-মেকিং সেশনে’ আবেসিকারা এ কথা বলেন।আবেসিকারা জানান, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যোগ্য অংশীদার বাংলাদেশ। বাণিজ্যে দুই দেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। শ্রীলঙ্কা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে অনেকগুলো বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।এ সময় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান বলেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য দুই দেশের মধ্যে অনেকগুলো দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা থেকে ২৩ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করেছে ৩৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য।তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে তুলা, ফেব্রিক্স, বিভিন্ন কাঁচামাল, ওভেনসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। এর বিপরীতে

Advertisement

ঔষধ, তৈরি পোশাক, বৈদ্যতিক সরঞ্জাম ও আলু রপ্তানি করা হয়। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বহুমুখীকরণের সুযোগ রয়েছে।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ওসামা তাসীর। মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ডিসিসিআই পরিচালক রিজওয়ান-উর রহমান শ্রীলংকার ব্যবসায়ীদের আরো বেশি হারে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশি পণ্য আমদানির আহবান জানান। ডিসিসিআই পরিচালক হায়দার আহমদ খান, এফসিএ, রিজওয়ান-উর রহমান, মুক্তার হোসেন চৌধুরী, হোসেন এ সিকদার, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, প্রাক্তন সহ-সভাপতি আবসার করিম চৌধুরী, এম আবু হোরায়রা এবং ডিসিসিআই সচিব এএইচএম রেজাউল কবির সভায় উপস্থিত ছিলেন।