জাতীয়

নেপাল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য শতকরা ৫০ ভাগ আসন সংরক্ষিত থাকলেও এবার শঙ্কিত বেসরকারি মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর ভর্তিচ্ছু বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিগত বছরগুলোর চেয়ে অনেক কম হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রতি বছর নেপাল থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে পড়াশুনা করতে আসে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী প্রতি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা কমিশন পরিশোধ করে স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে স্ব-স্ব কলেজে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করান।  কিন্তু সাংবিধানিক জটিলতার কারণে বর্তমানে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। দেশটিতে নানা কারণে অর্থমন্দা যাচ্ছে। ফলে ভর্তির ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোর মতো এবার স্থানীয় এজেন্ট, শিক্ষার্থী ও  তাদের অভিভাবকরা তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) মহাসচিব ও কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. সেলিম জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজে প্রতি বছর ৬ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। তারমধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাশ্মির থেকে ১শ’য়ের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। বাকি প্রায় সব শিক্ষার্থীই নেপাল থেকে ভর্তি হয়। শতকরা হিসেবে ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থীই নেপালি। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে এবার শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমবে বলে জানান তিনি। জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ৬৫টি বেসরকারি মেডিকেল প্রায় ৬ হাজার ও ২৩ ডেন্টাল কলেজে মোট ১২ শ’ ৩৮ আসন রয়েছে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ পাওয়ার বাধ্যবাধকতা বেঁধে দিয়েছিল। সে মোতাবেক এ বছর ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তিযোগ্য বিবেচিত হয়।বিপিএমসিএর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চলতি বছর মোট আসনের শতকরা ৫০ ভাগ আসনে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ১ অক্টোবর থেকে বিদেশি দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বর আবেদনের শেষ দিন। বিপিএমসিএ মহাসচিব বলেন, নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা আবেদনপত্রের শেষ সময়সীমা কিছুদিন বাড়িয়ে দেয়ার জন্য শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানাবেন। তবে এবার দেশীয় শিক্ষার্থীদের অনেকেই ভর্তিযোগ্য ঘোষিত হওয়ায় গত বছরের চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি। এমইউ/এসকেডি/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement