ঢাকা ক্লাব ও উত্তরা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে অর্থের বিনিময়ে হাউজি, ডাইস, তাসসহ যেকোনো ধরনের জুয়া খেলা নিয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। রায় ঘোষণার জন্য ২৮ জানুয়ারি ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
ঢাকা ক্লাব ও উত্তরা ক্লাব ছাড়া অন্য ক্লাবগুলো হলো- গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা লেডিস ক্লাব, গুলশান ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।
রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব, ঢাকা ক্লাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
Advertisement
পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি ক্লাবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য আগামী ২৮ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি ক্লাবে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে জুয়াসহ অবৈধ ইনডোর গেম যেমন কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যাতে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়, তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য আদালত দিন ধার্য করলেন।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজীব বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনো ধরনের জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। একই সঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদে সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এফএইচ/এইচএ/এমকেএইচ
Advertisement