বছরের পর বছর ধরে লোকসানে নিমজ্জিত দুলামিয়া কটন চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও (২০১৯ সালেরে অক্টোবর-ডিসেম্বর) লোকসান করেছে। তবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসানের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
Advertisement
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সরবরাহ করা আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএসই জানায়, চলতি হিসাব বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে ৪৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ার প্রতি লোকসান কমেছে ৬৫ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকের মতো অর্ধবার্ষিক (২০১৯ সালের জুলাই-ডিসেম্বর) হিসাবেও কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে। চলতি হিসাব বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ২৮ পয়সা।
Advertisement
এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যও ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৩৫ টাকা ৯৯ পয়সা, যা ২০১৯ সাল জুন শেষে ছিল ৩৪ টাকা ৯৭ পয়সা।
প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি পরিচালন নগদ প্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো ২০১৯ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ১ টাকা ৪৪ পয়সা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে ২০১৫ সাল থেকে কোম্পানিটির আর্থিক তথ্য রয়েছে। ওই তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে কোম্পানিটি একবারও মুনাফার দেখা পায়নি। মুনাফা না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে শেয়ারহোল্ডাররা কোনো ধরনের লভ্যাংশ পাচ্ছেন না। ফলে পঁচা বা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ২১ দশমিক ৪ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার।
Advertisement
এমএএস/জেডএ/জেআইএম