একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নোয়াখালী জেলার সুধারামের পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে- তারা হলেন, আমীর আহম্মেদ ওরফে আমীর আলী, আবুল কালাম ওরফে একেএম মনসুর, মো. ইউসুফ, মো. জয়নাল আবদীন ও মো. আব্দুল কুদ্দুস। প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি করে সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নির্দেশ দেন। এর আগে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। আসামিদের বিরুদ্ধে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় একশত ১১ জনকে গণহত্যাসহ তিনটি অভিযোগ আনা হয়। জাহিদ ইমাম বলেন, গত বছরের ১৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়ে গত ৩১ আগস্ট শেষ হয়। ওই দিনই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ : প্রথম অভিযোগ : একাত্তরের ১৫ জুন নোয়াখালীর সুধারামে ৪১ জনসহ শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন পাঁচ আসামি। দ্বিতীয় অভিযোগ : একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর ও মো.জয়নাল আবদিন। তৃতীয় অভিযোগ : একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে বেলা সাড়ে এগারটা পর্যন্ত ৯ জনকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর ও মো. ইউসুফ। তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়- আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর সকল অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে (ফর্মাল চার্জে বলা হয়)। মো. ইউসুফ ও মো. জয়নাল আবদিন দুটি এবং মো. আব্দুল কুদ্দুস একটি ঘটনায় জড়িত ছিলেন।এফএইচ/এসএইচএস/এমএস
Advertisement