হর্ন অব আফ্রিকা খ্যাত সোমালিয়া তাদের জলসীমায় তেলের খোঁজ করতে তুরস্ককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এমন আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা নিজে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। সোমালিয়ার বেসরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনটিভির বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও এ তথ্য দিয়েছে।
Advertisement
২০১১ সালে দুর্ভিক্ষের সময় সোমালিয়ার সঙ্গে একটি উল্লেখযোগ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে তুরস্ক। চুক্তির কারণে তুর্কি প্রকৌশলীরা সোমালিয়ার অবকাঠামো নির্মাণ, দেশটির ব্যবসায়ে বিনিয়োগ এবং দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে দক্ষ করে তুলতে তুর্কি সামরিক কর্মকর্তারা সোমালিয়ান সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজও করছে।
লিবিয়া সঙ্কট নিয়ে জার্মানির বার্লিনে দশ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফেরার পথে মঙ্গলবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, সোমালিয়ার আমন্ত্রণের ব্যাপারে শিগিগিরই পদক্ষেপ নেয়া শুরু করবে তুরস্ক। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য এখনই সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করেননি।
এনটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী এরদোয়ান বলেন, ‘সোমালিয়া থেকে একটা প্রস্তাব পেয়েছি। তারা বলছে, আমাদের সমুদ্রে তেল আছে। আপনারা লিবিয়ার সঙ্গে এরকম কার্যক্রম পরিচালনা করছেন,] আপনারা আমাদের এখানেও তা করতে পারেন। এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই আমরা দেশটিতে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।’
Advertisement
গত ডিসেম্বরের শেষে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে এক গাড়ি বোমা হামলার ঘটনায় অন্তত ৯০ জন নিহত হন, তাদের মধ্যে তুরস্কের একদল প্রকৌশলীও ছিলেন। গত সপ্তাহের শেষে দেশটির আফগোয়ে নামক এলাকায় আরও এক গাড়ি বোমা হামলার ঘটনা ঘটে, তাতেও কয়েকজন তুর্কি ঠিকাদার আহত হন।
গত নভেম্বরে আফ্রিকার আরেক দেশ লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের (জিএনএ) সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে তুরস্কের একটি চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অবশ্য প্রতিবেশী গ্রিস ও সাইপ্রাসকে প্রভাবিত করেছে। সাইপ্রাসের সমুদ্র উপকূলে খনিজ সম্পদ আহরণ নিয়ে আঙ্কারার সঙ্গে এথেন্সের সম্পর্ক তাই বৈরীতাপূর্ণ।
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement