মসজিদে আকসার প্রধান ইমাম শায়খ ইকরিমা সাবেরির এই বরখাস্তাদেশকে ইসরায়েলের মানবাধিকার নীতিমালার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিন। অসংখ্য নবি-রাসুলের স্মৃতি বিজড়িত মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদে আকসা রক্ষায় নতুন করে জেগে উঠার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
Advertisement
মসজিদে আকসার ইমামকে বরখাস্তের ঘটনায় ১৯ জানুয়ারি রোববার ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণকে এই আহবান জানায়। ফিলিস্তিনের জনগণের এ জাগরণ দেশটিতে ইসরায়েলের ধারাবাহিক আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব বন্ধে ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১৭ জানুয়ারি শুক্রবার আল আকসার খতিব শায়খ ইকরিমা সাবরি জুমআর খোতবায় ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদী বক্তব্য দেয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দখলদার কতৃপক্ষ। ফিলিস্তিন এই বরখাস্তাদেশকে ইসরায়েলের মানবাধিকার নীতিমালার লঙ্ঘন আখ্যা দিয়েছে। ফিলিস্তিন বিষয়ক বিভিন্ন হস্তক্ষেপ বন্ধে দেশের জনগণকে সজাগ হওয়ার আহ্বান করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ আহ্বানের মূল উদ্দেশ্য হলো-‘মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল আকসার প্রতি আরব ইসলামি শক্তিসমূহের সমর্থন পুনঃযাচাই করা। যাতে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা স্বাধীনভাবে আল-আকসা মসজিদে আসতে পারে এবং বিনা বাধায় ইবাদত-বন্দেগি করতে পারে।’
Advertisement
উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারি (রোববার) দখলদার ইসরাইল অন্যায়ভাবে মানবাধিকার বহির্ভূত জেরুসালেমের সর্বোচ্চ ইসলামিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও আল আকসার খতিব শায়খ ইকরিমা সাবেরিকে এক সপ্তাহের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পরবর্তীতে এ নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তারা।
এদিকে ইসরাইল দাবি করেছে যে, শায়খ ইকরিমা সাবেরি জুমআর নামাজের খোতবায় দখলদার ইসলাইলিদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা বলার জের ধরেই তারা এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
জেরুজালেম নগরীতে বসবাসরত মুসলমান ফিলিস্তিনিদের ওপর অস্বাভাবিক কঠোরতা শুরু করেছে দখলদার ইসরাইলি সেনা কর্তৃপক্ষ। তারা স্থানীয় সিলওয়ানের কয়েকটি দোকান ও বাসস্টান্ডেও হামলা চালিয়েছে বলে জানা যায়।
এমএমএস/জেআইএম
Advertisement