দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ বড় ধরনের ধাক্কা খেল ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। তাদের জোট ভেঙে বেরিয়ে গেছে দুই পুরনো সঙ্গী শিরোমণি অকালি দল ও জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)। বলা হচ্ছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) আর জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ইস্যুতে মতের মিল না হওয়াতেই জোট ছেড়েছে অকালি দল। আর জেজেপি সরাসরি কিছু না বললেও ধারণা করা হচ্ছে, বিজেপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে সমঝোতা না হওয়াতেই বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে তারা।
Advertisement
ভারতের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিএএ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে মতবিরোধ চলছিল অকালি নেতাদের। দলটির অন্যতম নেতা মনজিন্দর সিং শীর্ষা বলেছেন, ‘সিএএ নিয়ে আমাদের অবস্থান পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তাতে রাজি হইনি। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন থেকে মুসলিমদের বাদ দেয়া যাবে না।
অকালি নেতারা সিএএ-এনআরসি নিয়ে দ্বন্দ্বের কথা বললেও সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার মূল কারণ আসন সমঝোতা। ২০১৫ সালের দিল্লি নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল অকালি। তবে তাদের প্রার্থীদের লড়তে হয়েছিল বিজেপির পদ্ম প্রতীক নিয়ে। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে নিজেদের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাতেই লড়তে চান অকালি নেতারা। আর তা নিয়েই যত দ্বন্দ্ব।
এদিকে, জননায়ক জনতা পার্টির সঙ্গেও আসন নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়েছে বিজেপি। হরিয়ানা সীমান্তে অন্তত ১২টি আসন দাবি করেছিল জেজেপি। কিন্তু এতগুলো দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। আর তাতেই ভেঙে যায় দীর্ঘদিনের জোট।
Advertisement
দুর্দিনের দুই বিশ্বস্ত সঙ্গী জোট ছাড়ায় দিল্লি নির্বাচনে চাপ বেড়ে গেল ক্ষমতাসীন বিজেপির। তবে এমন দুঃসময়ে তাদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি যে, জোট ছেড়ে আলাদাভাবে নির্বাচনে লড়বে না অকালি। তারা পুরো নির্বাচনই বয়কট করছে। এছাড়া জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) ও লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) সঙ্গে জোট পাকা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। দিল্লিতে জেডিইউ দু’টি ও এলজেপি একটি আসনে লড়বে।
এদিকে, আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিজেপি ঝামেলায় পড়লেও সেদিক থেকে স্বস্তিতে আছে কংগ্রেস। এরই মধ্যে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গেছে। জানা গেছে, দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের নির্বাচনে চারটিতে প্রার্থী দেবে আরজেডি, বাকিগুলো কংগ্রেসের।
কেএএ/টিটিএন/জেআইএম
Advertisement