দেশজুড়ে

আখের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে চলতি অর্থবছরে আখের ফলন খুব ভাল হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। ফলে আখের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের আখ চাষী মো. নাজিমউদ্দিন নাজু (৪০) জানান, তিনি গত বছর ২ বিঘা জমিতে আখের চাষ করেছিলেন। কিন্তু সেবার ফলন ভালো না হওয়ায় তার কোনো লাভ হয়নি। আর এবার তিনি ৪ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার আখের বাম্পার ফলন হওয়াতে তার চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক। আখ বিক্রির বাড়তি আয়ে পারিবারিক অনেক আর্থিক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন বলে তিনি জানান। জামালপুর ইউনিয়নের মেন্দিপুর গ্রামের নির্মল দাস (৩৫) জাগো নিউজকে জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আখের ফলন ভালো। কিন্তু ভালো পাইকার না পাওয়াতে একটু সমস্যায় পড়েছেন। স্থানীয় পাইকাররা অন্য পাইকারদের তুলনায় অনেক কম দাম দেয়। আখ চাষিদের কাছে স্থানীয়দের চেয়ে দূূরের পাইকাররাই বেশি অগ্রাধিকার পায়। কারণ, তারা স্থানীয়দের তুলনায় বেশি মূল্য দেয়। তবে এই সমস্যা থাকবে না বলেও তিনি এ প্রতিবেদককে জানান। তিনি আরো জানান, পাইকারি বিক্রির চেয়ে খুচরা বিক্রি করতে পারলে কয়েক গুণ বেশি অর্থ ঘরে তোলা যায়।কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ঘোনাপাড়া গ্রামের আখ চাষী আলফা মিয়া (৪৫) জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের বাপ-চাচাদের কাছে শুনেছি স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে এই এলাকায় ভালো আখ চাষ হতো। আখ চাষে মূলধন ফেরত না আসা এবং সঠিক মূল্য না পাওয়ায় স্বাধীনতার পর থেকে আখ চাষীরা লাভজনক ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই মৌসুমী ফসল আখ চাষ থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তিনি আরো জানান, তারা প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা পেলে হয়তো আবারো নতুন করে আখ চাষে উদ্যোগী হয়ে উঠবে।  উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম সহীদ নূর আকবর জাগো নিউজকে বলেন, গত ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে কালীগঞ্জ উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রার দেড় হাজার টন আখ উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু বর্তমান ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ আখ উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর আখের বাম্পার ফলন হলেও ভাল দামে বিক্রি করতে পারলে আখ চাষিরা হাসি মুখ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে। তিনি আরো বলেন, তার কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে অতীতের মতো সব সময় আখ চাষিদের জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া আখ চাষিদের আখ চাষে আরো বেশি আগ্রহী করার লক্ষ্যে সরকার সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করছেন।  আব্দুর রহমান আরমান/এসএস/পিআর

Advertisement