জাতীয়

সরকারি অনুদানে নির্বাচনী ব্যয়

আদর্শিকভাবে রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও  জাতীয় পার্টি একমত পোষণ করতে না পারলেও নির্বাচনী ব্যয়ের ব্যপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন তারা। তারা (দলের তিনজন প্রতিনিধি) ‘সরকারি অনুদানেই নির্বাচনী ব্যয়’ পরিচালিত হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থায়নে স্বচ্ছতা আনায়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় ঐকমত্য পোষণ করেছেন এ তিন দলের তিনজন প্রতিনিধি। গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের।হানিফ বলেন, আমাদেরকে যে নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা পরিবর্তন করা দরকার। এখন একজন কর্মীকে দিয়ে পোস্টার লাগাতে হলেও তাদেরকে অর্থ প্রদান করতে হয়। যুগের সঙ্গে সঙ্গে এ খরচের পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন।তিনি আরও  বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। আওয়ামী লীগের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা রয়েছে। অন্য দলগুলোর মধ্যে আছে কি না তা জানি না। জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া সরকারি অনুদানে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই ভালো উদ্যোগের ক্ষেত্রে দেশের সবাইকে ঐকমত্য পোষণ করা উচিত।ওসমান ফারুক বলেন, গণতান্ত্রিক নিয়ামক হচ্ছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা। যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা দেখা যাচ্ছে না।তিনি বলেন, নির্দিষ্ট খরচ বেঁধে দিয়ে নির্বাচন হয় না। কারণ, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জনবল নেই। সে কারণে তারা যথাযথভাবে নির্বাচনী ব্যয় পর্যবেক্ষণ করতে পারেন না। এছাড়ও নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী নয় এবং যারা এ সমস্ত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবেন তারাই অধিকাংশ সময় দলীয় লোক হয়।জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা থাকা আবশ্যক। আমরা বিরোধী দলে থাকাকালীন সময়ে গণতন্ত্রের কথা বলে থাকি। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে আমার সেটা ভুলে যাই। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের অর্থায়নে চালানো কঠিন।তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল নির্দিষ্ট খরচ দিয়ে দল পরিচালনা করতে পারে না। বিভিন্ন অনুদান নিয়েই দল পরিচালনা করতে হয়। নির্বাচনী খরচ হিসাব করে করা যায় না। এখানে অনেকগুলো বিষয় থাকে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন- টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, প্রফেসর আব্দুল লতিফ মাছুম প্রমুখ।

Advertisement