দেশজুড়ে

কপোতাক্ষ নদে বালু উত্তোলন : ঝুঁকিতে বেড়িবাঁধ

কপোতাক্ষ নদের মধ্য থেকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘোষনগর ও কাশিমনগর এলাকা থেকে একটি প্রভাবশালী মহল প্রতিদিন মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ। একমাস আগে কপোতাক্ষের উপচেপড়া পানিতে সৃষ্ট বন্যার সময় তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু উত্তোলন বন্ধ ও মেশিনের পাইপ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। কিন্তু আবার শুরু হয়েছে বালু উত্তোলন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, খুলনা জেলার দৌলতপুর এলাকার শেখর কুমার সাহা ঘোষনগর এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছ থেকে প্রায় ৮ বিঘা ডোবা জমি ক্রয় করেন। সেখানে মেসার্স এসএ্যান্ডএস জুট ট্রেডিং কোং দৌলতপুর, খুলনা নামের একটি সাইনবোর্ডও টাঙানো হয়েছে। গত এক বছর ধরে এই ডোবা এলাকা বালু দিয়ে ভরাট করতে তিনি স্থানীয় মহলকে ম্যানেজ করেন এবং তালার জেয়ালা গ্রামের ইদ্রিস আলীকে বালু উত্তোলনের দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ইদ্রিস আলী প্রতি ফুট বালু ৪.২৫ টাকা দরে বিক্রি করে স্থানীয় নিম্ন এলাকা ভরাট করছেন। এজন্য তিনি কপোতাক্ষের বুকে দুইটি স্যালো মেশিন বসিয়ে পাইপযোগে প্রতিদিন ৪/৫ হাজার ঘনফুট বালু তুলছেন।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ইদ্রিস আলী জাগো নিউজকে জানান, প্রতি বর্গফুট বালু ৪.২৫ টাকা হারে উত্তোলনে তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। এজন্য তিনি ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে বালু উত্তোলন শুরু করেন। এভাবে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তার জানার কথা নয়। জমির মালিক শেখর কুমার সাহা জানেন।তবে জমির মালিক শেখর সাহা জানান, সবাইকে ম্যানেজ করেই তিনি বালু উত্তোলন করছেন।তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনবিহীন বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষেধ রয়েছে। কিছুদিন আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছিল। যদি আবারও বালু উত্তোলন করে থাকে তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসএস/এমএস

Advertisement