আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর দিগন্ত জুড়ে কাশফুল জানান দিচ্ছে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গা পূজার আগমনী বার্তা। ভক্তদের জন্য শুভ্রতার পরশ নিয়ে মাতৃরূপে আসছেন দেবী দুর্গা। দশভূজা দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় ধরণী আজ পুলকিত।বাঙালির সার্বজনীন এ দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। শাস্ত্র অনুযায়ী এ বছর দেবী দুর্গা আসবেন ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে আর প্রস্থান করবেন দোলায় (পালকি) চড়ে।দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরুর এখনো দুই সপ্তাহ বাকি। তবে দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে এখন দিন-রাত প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীরা। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষে আগামী দু-একদিনের মধ্যেই প্রতিমাতে দেয়া হবে রং-তুলির শেষ আচড়। এরপর প্রতিমাকে পোশাক আর অলংকার পড়িয়ে দৃষ্টি নন্দিত করা হবে।তবে পূজার এই আগ মুহূর্তে বসে নেই কারু শিল্পীরাও। প্রতিটি পূজা মন্ডপকে পূর্ণাঙ্গ শৈল্পিক রূপ দেয়ার জন্য কারু শিল্পীরা এখন দিন-রাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।কয়েকজন মৃৎ ও কারু শিল্পীর সঙ্গে কথা হলে তারা জাগো নিউজকে জানান, দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে এখন নির্ঘুুম রাত কাটাচ্ছেন তারা। রাত-দিন জেগে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় আনন্দে উদ্বেলিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তরা জানান, দুর্গা মায়ের রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের মাধ্যমে পরিবারের পাশাপাশি দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করবেন তারা।বাঙালি জাতির সার্বজনীন দুর্গোৎসবকে দল মত ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ।জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রণব কুমার দাস উত্তম জাগো নিউজকে জানান, এ বছর জেলাজুড়ে ৫০৫টি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে পূজা মন্ডপগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।এদিকে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হচ্ছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি পূজা মন্ডপে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে পুলিশের মোবাইল টিমও কাজ করবে। পুলিশের এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা পূজা শুরুর আগের দিন থেকে প্রতিমা বিসর্জনের দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও জানান জেলা পুলিশের এ শীর্ষ কর্মকর্তা।উল্লেখ্য, আগামী ১৯ অক্টোবর ষষ্ঠি থেকে ২২ অক্টোবর দশমী পর্যন্ত ৪ দিন ভক্তদের মাঝে বিরাজ করে দেবী দূর্গা চলে যাবেন স্বামী গৃহে।এসএস/এমএস
Advertisement