পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি আশা করি, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে সক্ষম হবে।’তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৫ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদের পরিকল্পিত নগরায়ন সৃষ্টিতে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাই। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত এক বাণীতে এ কথা বলেন।বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, বেসরকারি আবাসন শিল্পে সুষ্ঠু ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা-২০০৪ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি। এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট পুরাতন অন্যান্য আইন ও বিধিমালা যুগোপযোগী করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমাদের এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে গৃহায়ন ও আবাসনখাতে প্রণিধানযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে।সুপরিকল্পিত গৃহায়ন ও নগরায়নের মাধ্যমে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত প্রায় সাত বছরে বর্তমান সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।শেখ হাসিনা বলেন, হাতির ঝিল এলাকায় সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে রাজধানী ঢাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান নিশ্চিত করে সকলের ব্যবহারযোগ্য আবাসন ও নগরায়ন সংক্রান্ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি, এ সব কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে গৃহায়ন ও আবাসনখাতে প্রণিধানযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৫’র এবারের প্রতিপাদ্য ’পাবলিক স্পেসেস ফর অল’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।## বিশ্ব বসতি দিবস আজবিএ
Advertisement