গাইবান্ধায় স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনায় অপহরণকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।জানা গেছে, সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের এজাদুল ইসলামের মেয়ে গাইবান্ধা আসাদুজ্জামান স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী রিংকি আক্তারকে (১৪) অপহরণ করে নিয়ে গেছে বখাটে অপু মিয়া (১৮)। অপহরণকারী ফুলছড়ি উপজেলার জোরভিটা এলাকার কাশেম ভুয়ার ছেলে।অপু মিয়া ও তার সন্ত্রাসী সহযোগীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে। মানববন্ধন থেকে বক্তারা রিংকিকে উদ্ধারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি কে.এম রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, প্রধান উপদেষ্টা গোবিন্দলাল দাস, মহিলা পরিষদের জেলা সভাপতি আমাতুর নুর ছড়া, সাধারণ সম্পাদক রিক্তু প্রসাদ, ব্যবসায়ী নেতা মোকছেদুর রহমান শাহান, নাগরিক আন্দোলনের নেতা মির্জা হাসান, সাংবাদিক দীপক কুমার পাল, আরিফুল ইসলাম বাবু, আফতাব হোসেন, হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য মবিয়া হাসান নিয়াত প্রমুখ।মানববন্ধনে রিংকির মা মিনি আকতার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন নারী ও মা। আরেকজন মা হিসেবে আমি তার কাছে আমার নাবালিকা মেয়েকে ফেরত পাওয়ার আকুল আবেদন জানাই। ওই বখাটে আমার মেয়ের জীবনে কলঙ্ক লেপন করেছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত তাকে ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি।এদিকে গাইবান্ধা সদর থানায় অপহৃতের বাবার দায়ের করা মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, রিংকি আকতার স্কুলে যাওয়া আসার সময় দীর্ঘদিন ধরে অপু মিয়া তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল।গত বৃহস্পতিবার রিংকি বাড়ি থেকে শহরের থানা পাড়ার কোচিংয়ে যাওয়ার সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বখাটে অপু মিয়া ও তার সহযোগী জোরভিটা গ্রামের মিঠু মিয়া, কাশেম ভুয়া, কাদের ভুয়া এবং নিহাল চন্দ্র রিংকি আকতারকে জোর করে সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যায়।অমিত দাশ/এমজেড/বিএ
Advertisement