লাক্স সুপারস্টার হিসেবে ২০১৮ সালে শোবিজ পথচলা শুরু করেন মিম মানতাসা। মডেলিংয়ের পাশাপাশি নাটকেও অভিনয় করেন তিনি। এখানে খুব একটা নিয়মিত তাকে দেখা না গেলেও বিশেষ দিবসে তিনি হাজির হন বৈচিত্রময় কিছু গল্পে। তাল মিলিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্রী হিসেবে চলছে পড়াশোনাও।
Advertisement
কেমন গেল তার ২০১৯ সাল? কেমনই বা পরিকল্পনা হয়েছে নতুন বছর নিয়ে? সেইসব জানতে গেলে মিমের জবাব, ২০১৯ সালটি বেশ ভালো কেটেছে তার। ২০২০ নিয়েও কিছু পরিকল্পনা করেছেন। মিমের ভাষ্য, ‘গেল বছরটা অনেক ভালো কেটেছে। যতটা আশা করেছিলাম, বছরটি তার চেয়েও ভালো কেটেছে। ব্যর্থতার হিসেব আমি করি না। আর আমার কখনো নিজেকে ব্যর্থও মনে হয়নি। আমি যা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ তাকেই সন্তুষ্ট থাকি।’
নতুন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে এই সুন্দরী বলেন, ‘বিশেষ কোনো পরিকল্পনা তেমন কিছু নেই। দর্শককে ভালো কিছু কাজ উপহার দিতে চাই। আসলে খুব বেশি নিয়মিত কাজ আমার করা হয় না। বিশেষ দিবসে কিছু কাজ করি। এজন্য অনেকে আমাকে বিশেষ দিবসের নাটকের অভিনেত্রী বলেও ডাকেন। মজা পাই খুব। তবে এটা বলবো যে বিশেষ দিবস উপলক্ষে বিশেষভাবেই কিছু নাটক-টেলিছবি তৈরি হয়। সেগুলোর গল্প, চরিত্র ও নির্মাণে আলাদা যত্ন থাকে।’
নতুন বছরের পরিকল্পনায় সিনেমা থাকছে কী না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মিম বলেন, ‘লাক্স প্রতিযোগিতার পরপরই বাণিজ্যিক সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছি। এখনো আসে। তবে সেগুলো করা হয়নি। আমার নিজেরও ইচ্ছে নেই। আমার পরিবারও চায় না এ ধরনের ছবিগুলোতে কাজ করি। সিনেমায় অবশ্যই কাজ করবো। পরিকল্পনার কিছু নেই। যখনই পছন্দ অনুযায়ী চিত্রনাট্য ও চরিত্র পাবো তখনই রাজি হবো।’
Advertisement
এদিকে পাবনার মেয়ে মিম জানান, সম্প্রতি রেহমান খলিলের পরিচালনায় ‘একজন হায়দারের চাহিদা’ নামের একটি খণ্ড নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এখানে তিনি মনোজ প্রামাণিকের বিপরীতে কাজ করেছেন। শিগগিরই এটি চ্যানেল আইয়ে প্রচার হবে রোমান্টিক ও থ্রিলার গল্পের এ নাটক। পাশাপাশি আসছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কিছু নাটকে অভিনয় করবেন মিম মানতাসা। সুন্দরী ও মেধাবী এই তরুণ তুর্কীর জন্য শুভকামনা।
এলএ/এমএস