ঘড়ির কাটা তখন ঠিকঠাক রাত আটটা। এফডিসির মুক্তিযোদ্ধা জসিম শুটিং ফ্লোরের ভেতরে চারদিকে হইহই রইরই ব্যাপার! ঘটনা কি? আগ্রহ নিয়ে ভেতরে ঢুঁ মারলাম। ওমা, একি! এতো দেখি পুরো বিয়ে বাড়ি। ফ্লোরের একপাশে হলুদ গাঁদা ফুল আর বাহারি পাতা দিয়ে সাজানো। সামনেই ফাঁকা একটি মঞ্চে চোখ আটকে গেল। সেখানে কারুকাজ করে লেখা রয়েছে ‘বিথীর গায়ে হলুদ’। ফ্লোরে আরেক পাশে আলো নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা একজন আড্ডা দিচ্ছেন দেখে এগিয়ে গিয়ে জানতে চাইলাম- বীথির গায়ে হলুদ? এ কোন বীথি? এক ফালি হাসি দিয়ে তিনি বললেন- মামা এটা শফিক হাসান পরিচালিত ধূমকেতু ছবির শুটিং সেট। ছবিতে নায়িকা পরীমনিকে বীথি নামে দেখা যাবে।সেখানে তার গায়ে হলুদের একটু সিন আছে তাই এভাবে সাজানো হয়েছে সবকিছু।’ হাফ ছেড়ে বাঁচি। মূল বিষয়টা জানার জন্য পরিচালককে খুঁজতে লাগলাম। কিন্তু তিনি লাপাত্তা! ফোন করলাম, তিনি বললেন- দশ মিনিট বসেন। বাইরে আছি। এসেই কথা বলছি। এরপর গেলাম মেকাআপ রূমে। দরজার লক মোচড় দিয়ে খুলতেই চোখে পড়লো নায়িকা তানহা তাসনিয়া আরামছে মেকার নিচ্ছেন। দেখেই হেসে দিলেন। জানতে চাইলাম- শুনলাম পরীমনির গায়ে হলুদের শুটিং হবে কিন্তু আপনি সাজছেন কেন? ছবির শেষে আমার একটা শর্ট আছে সবাইকে মিলতাল করে দেওয়ার জন্য। সেজন্য তৈরি হচ্ছি।পেছেনে ফিরে দেখলাম হলুদের বেশে তৈরি হচ্ছেন পরীমনি। মুচকি হাসি দিয়েই বললেন- অনেক দিন পর দেখলাম। আছেন কেমন? বললাম- ভালো আছি। এরই মধ্যে দশ মিনিট পার হয়ে গেলো। নির্মাতা শফিক হাসান আসলেন। ছবিটি সম্পর্কে বিস্তারিত তিনিই জানালেন। বললেন- ছবির কাজ প্রায় শেষ। ছবিতে শাকিবের সঙ্গে পরীর বিয়ে হবে সেজন্য বিয়ের আগে গায়ে হলুদের দৃশ্য ধারণের জন্যই পুরো ফ্লোরের এমন সাজ। এরই মধ্যে গায়ে হলুদের স্টেজে বসে গেলেন পরী। পাশেই ক’জন মেয়ে-ছেলে মিলে পরীর মুখে হলুদ দিতে লাগলো। পরীতো হেসেই খুন! নির্মাতা বললেন- নাহ। হচ্ছে না পরী। মন খারাপ, চোখ জলে টলমল রাখতে হবে। অমনি চোখে গ্লিসারিন দিয়ে ফের অভিনয়ের মুডে চলে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে ওকে কাট। শর্ট ওকে শব্দগুলো শোনা গেলা।একে একে সবাই স্টেজ থেকে নেমে গেলেন। নির্মাতা জানালেন- এরপর ছবির শেষে ফাইটিং-এর কিছু দৃশ্যধারণ করা হবে। তবে সেটা শাকিব না আসলে হবে না। সবাই অপেক্ষার ডালা সাজিয়ে বসে থাকলো কখন শাকিব আসবে!এএইচ/আরআইপি
Advertisement