গত সপ্তাজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন চললেও ২৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। দাম বাড়া এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমলেও অলিম্পিকের শেয়ার কিছু বিনিয়োগকারীর আগ্রহের শীর্ষে চলে আসে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দামে বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে। মূল্যে বড় ধরনের উত্থান হলেও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হয়নি। ফলে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৬৭ লাখ ১১ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এদিকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১০ দশমিক ৯১ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ১২ টাকা ৩০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৮৩ টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ১৭০ টাকা ৭০ পয়সা। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি অংশের মধ্যে ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে ৪০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার আছে। অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে ছিল ব্র্র্যাক ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। এরপরই রয়েছে ফিনিক্স ফাইন্যান্স। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ। এছাড়া গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ঢাকা ডাইংয়ের ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রেনেটা লিমিটেডের ৬ দশমিক ১৮ শতংশ, বিচ হ্যাচারির ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ দাম বেড়েছে। এমএএস/জেএইচ/এমএস
Advertisement