খেলাধুলা

বিপিএল ব্যাটিং : সেরা ছয়ে দেশি-বিদেশি সমানে সমান

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে নির্দিষ্ট আসরে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার তালিকায় দুইবার রয়েছে সাকিব আল হাসানের নাম। বিপিএলের পঞ্চম ও ষষ্ঠ আসরে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দুইবার ছিল না কারও নাম।

Advertisement

তবে টুর্নামেন্টের সপ্তম আসরে এসে দ্বিতীয়বারের মতো নির্দিষ্ট কোনো আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। গত আসরের মতো এবারেও তিনি ব্যাট হাতে ছাড়িয়ে গেছেন অন্য সবাইকে। টুর্নামেন্টের সবকয়টি ম্যাচ (১৪) খেলে ৪৫ গড়ে ৪৯৫ রান করেছেন রুশো। হাঁকিয়েছেন ৪টি ফিফটি, আবার শূন্য রানেও আউট হয়েছেন ২টি ম্যাচে।

তবে দ্বিতীয়বারের মতো এক আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমের সামনে। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে সিলেট রয়্যালসের হয়ে সেবারের সর্বোচ্চ ৪৪০ রান করেছিলেন মুশফিক। বিপিএলের এক আসরে সেটিই ছিলো মুশফিকের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

আজ (শুক্রবার) রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে ২৫ রান করলেই তিনি ছাড়িয়ে যেতে পারতেন রুশোকে। আর বড় ইনিংস খেলতে পারলে হয়তো শিরোপার স্বাদও পেতে পারতেন প্রথমবার। কিন্তু মুশফিক আউট হয়েছেন ২১ রান করে। শিরোপা খোয়ানোর পাশাপাশি, হতে পারেননি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও। ১৪ ম্যাচে ৪ ফিফটিতে ৭০.১৪ গড়ে তার সংগ্রহ ৪৯১ রান। রুশোর থেকে মাত্র ৪ রান কম।

Advertisement

রান সংগ্রাহকের তালিকায় খুলনার রুশো-মুশফিক শীর্ষ দুইয়ে থাকলেও, শিরোপা জিতেছে তালিকার তিন-চারে থাকা লিটন দাস ও শোয়েব মালিকের রাজশাহী রয়্যালস। এ দুইজনের সংগ্রহ সমান ৪৫৫ রান করে। দুজনই হাঁকিয়েছেন ৩টি করে ফিফটি। তবে মালিক দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেও লিটন একবারও খালি হাতে ফেরেননি।

এ তালিকার সেরা পাঁচে অন্য নামটি প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়া কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালানের। তার সংগ্রহ ১১ ম্যাচে ৪৯.৩৩ গড়ে ৪৪৪ রান। তার চেয়ে ২ রান কম করেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। এ ছয় ব্যাটসম্যানই শুধু পেরেছেন ৪০০ রানের মাইলফলক ছুঁতে।

বিপিএলের এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক

১. রাইলি রুশো (খুলনা টাইগার্স) - ১৪ ম্যাচে ৪৫.০০ গড়ে ৪৯৫ রান, সর্বোচ্চ ৭১*২. মুশফিকুর রহীম (খুলনা টাইগার্স) - ১৪ ম্যাচে ৭০.১৪ গড়ে ৪৯১ রান, সর্বোচ্চ ৯৮*৩. লিটন দাস (রাজশাহী রয়্যালস) - ১৫ ম্যাচে ৩২.৫০ গড়ে ৪৫৫ রান, সর্বোচ্চ ৭৫৪. শোয়েব মালিক (রাজশাহী রয়্যালস) - ১৫ ম্যাচে ৩৭.৯১ গড়ে ৪৫৫ রান, সর্বোচ্চ ৮৭৫. ডেভিড মালান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স) - ১১ ম্যাচে ৪৯.৩৩ গড়ে ৪৪৪ রান, সর্বোচ্চ ১০০*৬. ইমরুল কায়েস (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) - ১৩ ম্যাচে ৪৯.১১ গড়ে ৪৪২ রান, সর্বোচ্চ ৬৭*

Advertisement

বিপিএলের প্রতি আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক

১. আহমেদ শেহজাদ (বরিশাল বার্নার্স) - ১২ ম্যাচে ৪৬৮ রান, সর্বোচ্চ ১১৩* (প্রথম আসর)২. মুশফিকুর রহীম (সিলেট রয়্যালস) - ১৩ ম্যাচে ৪৪০ রান, সর্বোচ্চ ৮৬ (দ্বিতীয় আসর)৩. কুমার সাঙ্গাকারা (ঢাকা ডায়নামাইটস) - ১০ ম্যাচে ৩৪৯ রান, সর্বোচ্চ ৭৫ (তৃতীয় আসর)৪. তামিম ইকবাল (চিটাগাং ভাইকিংস) - ১৩ ম্যাচে ৪৭৬ রান, সর্বোচ্চ ৭৫ (চতুর্থ আসর)৫. ক্রিস গেইল (রংপুর রাইডার্স) - ১১ ম্যাচে ৪৮৫ রান, সর্বোচ্চ ১৪৬* (পঞ্চম আসর)৬. রাইলি রুশো (রংপুর রাইডার্স) - ১৪ ম্যাচে ৫৫৮ রান, সর্বোচ্চ ১০০* (ষষ্ঠ আসর)৭. রাইলি রুশো (খুলনা টাইগার্স) - ১৪ ম্যাচে ৪৯১ রান, সর্বোচ্চ ৭১* (সপ্তম আসর)

এসএএস/এমএমআর