বিপিএলে এর আগে টুর্নামেন্টসেরা হওয়ার কৃতিত্ব ছিল কেবল দুজন বিদেশির। একজন ইংল্যান্ডের আসহার জাইদি, অপরজন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। এবার তৃতীয় বিদেশি হিসেবে বিপিএলের টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই লিগে গেইলের পর আসরসেরা হওয়া দ্বিতীয় ক্যারিবিয়ান তিনি।
Advertisement
কোয়ালিফায়ার-২ ম্যাচটিতে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে ছিলো রাজশাহী রয়্যালস। শেষের ৫ ওভারে করতে হতো ৭৬ রান। সেখান থেকে ২২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে অবিশ্বাস্য এক জয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল, সে ম্যাচে স্বভাবতই জিতেছিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন ফাইনাল ম্যাচেও। ব্যাট হাতে ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ২৭, বল হাতে ২ উইকেট ও ১টি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ- কোয়ালিফায়ার ম্যাচের মতো ফাইনাল ম্যাচেও দুর্দান্ত নৈপুণ্য রাসেলের। উইকেট দুইটির ১টি আবার খুলনা অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের, আর ক্যাচটি ধরেছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রাইলি রুশোর।
যার ফলে ফাইনাল ম্যাচেও জিতেছিলেন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। একইসঙ্গে একা হাতে দলকে পরপর দুই ম্যাচ জেতানোর সুবাদে আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন রাসেল। পুরো আসরে সবমিলিয়ে ২২৫ রান ও ১৪টি উইকেট শিকার করেছেন রাসেল। ব্যাটে বলে কি দুর্দান্ত এক বিপিএলই না কাটলো তার!
Advertisement
অবশ্য সাকিব আল হাসান নিষেধাজ্ঞায় না থাকলে কি ঘটতো বলা মুশকিল। বিপিএলে আগের ছয় আসরের মধ্যে তিনবারই যে টুর্নামেন্টসেরা ছিলেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার। একবার হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিপিএলের সাত আসরে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়দের তালিকা
সাকিব আল হাসান (ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস) - ২৮০ রান ও ১৫ উইকেট (প্রথম আসর, ২০১২)সাকিব আল হাসান (ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস) - ৩২৯ রান ও ১৫ উইকেট (দ্বিতীয় আসর, ২০১৩)আসহার জাইদি (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস) - ২১৫ রান ও ১৭ উইকেট (তৃতীয় আসর, ২০১৫)মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (খুলনা টাইটানস) - ৩৯৬ রান ও ১০ উইকেট (চতুর্থ আসর, ২০১৬)ক্রিস গেইল (রংপুর রাইডার্স) - ২ সেঞ্চুরি ও ২ হাফসেঞ্চুরিতে ৪৮৫ রান (পঞ্চম আসর, ২০১৭)সাকিব আল হাসান (ঢাকা ডায়নামাইটস) - ৩০১ রান ও ২৩ উইকেট (ষষ্ঠ আসর, ২০১৯)আন্দ্রে রাসেল (রাজশাহী রয়্যালস) - ২২৫ রান ও ১৪ উইকেট (সপ্তম আসর, ২০১৯-২০)
এসএএস/এমএমআর
Advertisement