ফাইনালের নায়ক তিনি। শুধু ফাইনালের কথা বলা কেন? এবারের বিপিএলের পুরো আসরটাই তো দুর্দান্ত কেটেছে আন্দ্রে রাসেলের। ব্যাটে বলে মাঠ কাঁপিয়েছেন। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়েছেন শিরোপাও।
Advertisement
ফাইনালে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। দলের ১৭০ রানের পুঁজিতে শেষদিকে নেমে ১৬ বলে ৩ ছক্কায় করেন হার না মানা ২৭ রান। পরে ডিফেন্ড করার পথেও বল হাতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
৪ ওভার বল করে রাসেল ৩২ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট। খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম, যার ওপরই শেষ পর্যন্ত আশা টিকে ছিল দলটির; ফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে তাকেও দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন এই পেসারই।
এ তো গেল ফাইনালের পারফরম্যান্স। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে এমনই উজ্জ্বল ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কি ব্যাট, কি বল-কোনো বিভাগেই যেন পিছিয়ে ছিলেন না এই অলরাউন্ডার।
Advertisement
১৩ ম্যাচে ৫৬.২৫ গড়ে ২২৫ রান এসেছে রাসেলের ব্যাট থেকে। সর্বোচ্চ ৫৪। স্ট্রাইকরেটটাও ঈর্ষণীয়, ১৮০। ১২টি চারের সঙ্গে ২১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
বল হাতে ১৩ ম্যাচে নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার, ৩৭ রানে ৪ উইকেট। ৮.৭৫ ইকোনমিটাও টি-টোয়েন্টি ফরমেটে খুব খরুচে বলার উপায় নেই।
সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টে অন্যতম সেরা পারফরমার ছিলেন এই রাসেল। মুশফিক দলকে শিরোপা জেতাতে পারলে অবশ্য হিসেবটা অন্যরকম হতে পারতো। খুলনা টাইগার্স অধিনায়কও যে বড় দাবিদার ছিলেন।
তবে রাসেলই শেষ পর্যন্ত হেসেছেন চওড়া হাসিটা। রাজশাহী রয়্যালসকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রথমবারের শিরোপা জিতিয়েছেন। টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কারটি তাই তার হাতে বেমানান নয় মোটেই।
Advertisement
এমএমআর/এসআর