অর্থনীতি

যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানেও ১ শতাংশ প্রণোদনা চায় বিজিএমইএ

বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী তৈরি পোশাক খাতে ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা (প্রণোদনা) দেয়া হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাহাজীকরণ করা তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে এ সহায়তা পাওয়া যাবে। গত ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনে অনুমোদিত সব ডিলার ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।

Advertisement

তবে ইউরোপীয় নিউনিয়ন (ইইউ), আমেরিকা ও কানাডায় রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষায়িত অঞ্চলে (ইপিজেড, ইজেড) অবস্থিত টাইপ বি তথা দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সুবিধার বাইরে রাখা হয়েছে। এখন এসব প্রতিষ্ঠানকেও ওই সুবিধার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিজিএমইএ।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক টাইপ-বি যৌথ মালিকানাধী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও ১ শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে চিঠি লিখেন।

চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বস্ত্রখাতে রফতানিতে ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা দেয়ার জন্য আপনাকে রফাতনিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পখাতের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমরা মনে করি, এ বিশেষ প্রণোদনা রফাতনিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পকে বর্তমানের সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তবে জানানো যাচ্ছে যে, ইইউ, আমেরিকা ও কানাডায় রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষায়িত অঞ্চলে (ইপিজেড, ইজেড) অবস্থিত টাইপ-বি প্রতিষ্ঠানের জন্য এ নগদ সহায়তা প্রযোজ্য হয়নি। ফলে দেশি-বিদেশি যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত কারখানাগুলো অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও ১ শতাংশ নগত সহায়তা হতে বঞ্চিত হবে।’

Advertisement

রুবানা হক চিঠিতে বলেন, ‘আমরা মনে করি, যৌথ বিনিয়োগের বিপরীতেও এ নগদ সহায়তা প্রদান করা আবশ্যক। কারণ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে স্থানীয় উদ্যোক্তারা একত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত কৌশল ব্যবহার করে উন্নতমানের উচ্চমূল্যের তৈরি পোশাক উৎপাদন করছে, যা স্থানীয় উদ্যোক্তারা সাধারণত উৎপাদন করে না।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে যেসব প্রতিষ্ঠান প্রচলিত পণ্য তৈরি না করে পণ্যের মান উন্নত ও বৈচিত্রকরণ আনায়নের লক্ষ্যে উচ্চমূল্যের পোশাক তৈরি করে, তাদের প্রণোদনা দেয়া একান্ত প্রয়োজন। যৌথ মালিকানায় বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার পাশাপাশি যে কারখানা পণ্য বৈচিত্রকরণ নিয়ে কাজ করছে, তাদের এ ধরনের সহায়তার অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।’

‘টাইপ-বি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ নগদ সহায়তা প্রযোজ্য না হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দ্বৈত নীতি বিবেচনা করে হতাশ হতে পারে। পাশাপাশি স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাও যৌথ বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হতে পারে।’

‘এ অবস্থায় ইপিজেড ও ইজেডে অবস্থিত টাইপ-বি যৌথ-মালিকানাধী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও ১ শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদান করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।’

Advertisement

এমইউএইচ/জেডএ/পিআর