ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো মার্কিন সেনা হতাহত হয়নি বলে এর আগে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরেরও দাবিও ছিল তাই। কিন্তু জেনারেল সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধের ওই হামলায় ১১ মার্কিন সেনা আহত হন বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরাকের আল-আসাদ ঘাঁটিতে ইরানের চালানো ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১১ মার্কিন সেনা আহত হন। ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আইএস বিরোধী সামরিক জোট গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি স্বীকার করেছে।
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন ইরানের শীর্ষ জেনারেল সোলেইমানি। সেই ঘটনার পাঁচদিন পর ইরাকের মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়ি ইরান। তারপর মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন বলেছিল, হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট গতকাল বলেছে, ‘গত ৮ জানুয়ারি আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা নিহত না হলেও বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট ট্রমায় আক্রান্ত হওয়ায় বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়। তারা এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে আছেন।’
Advertisement
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হামলার পর ট্রমায় আক্রান্ত সেসব মার্কিন সেনাকে ইরাকের আল-আসাদ বিমানঘাঁটি থেকে জার্মানিতে অবস্থিত ল্যান্ডথুহল রিজিওয়ানাল মেডিকেল সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তারা যখন সম্পূর্ণ সুস্থ হবেন তখন তাদের ইরাকে ফের কাজে যোগ দেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
মার্কিন এক সামরিক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, ইরানের ওই হামলায় ১১ মার্কিন সেনা আহত হন। দেশটির প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ইরানের ওই হামলার ঘটনার কয়েক দিন পরে ওই সেনাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। সতর্কতার অংশ হিসেবে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ইরানের ক্ষমতাধর জেনারেল সোলেইমানি বাগদাদ বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হন। তার ‘প্রতিশোধে’ ইরাকে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। তেহরান তখন ৮০ মার্কিন সেনাকে হত্যার দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্র তা প্রত্যাখান করে। অবশেষে ১১ জন আহতের কথা জানা গেলো।
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement