একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা ২০১৮ এবং ২০১৯ অনুযায়ী আসনের অতিরিক্ত ১১ শতাংশ ভর্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে শতভাগ আসনের বাইরে ১১ শতাংশ ভর্তি না করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে।
Advertisement
চলতি শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিদিষ্ট আসন থেকে ১১১ শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ভর্তির পর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বৃহস্পতবার (১৬ জানুয়ারি) আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট করেন। পরে রিটের বিষয়টি জাগো নিউজকে তিনি নিজেই নিশ্চিত করেন।
রিটে অতিরিক্ত ভর্তি কাযক্রমের সঙ্গে কারা কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশনা দিতে আর্জি জানানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত ভর্তি কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, দুদকের চেয়ারম্যান, শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটির চেয়ারম্যানসহ সংশশ্লিষ্ট ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
Advertisement
রিটে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালার ধারা-৩.৪ বিধান অনুযায়ী স্কুল থেকে পাস করেছেন তারা ওই কলেজে ভর্তিতে অগ্রাধিকার পাবে। কিন্তু ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ভিকারুননিসায় ৩.৪ বিধান লঙ্ঘন করে ১১১ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করেছে।
রিটের বিষয়ে রোববার (১৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা ২০১৯ জারি করে। ওই নীতিমালার ৩.২ ধারায় বলা হয়েছে, বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের শতভাগ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পরে যদি বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনো আবেদনকারী থাকে তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য, তিন শতাংশ বিভাগীয় এবং জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য, দুই শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দফতরসমূহ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারী ও স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যদের সন্তানদের জন্য, শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) জন্য এবং শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপযুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এসব আসন কার্যকর থাকবে না।
এফএইচ/এএইচ/পিআর
Advertisement