লাইফস্টাইল

অতিরিক্ত ঘুমের কারণে যে বিপদ হতে পারে!

প্রতিদিনের ক্লান্তি কাটাতে বলুন আর পরদিন কাজ করার শক্তি সঞ্চয়ের জন্য বলুন, ঘুম আমাদের সবার জন্যই সমান দরকারি। প্রতিরাতে একটি আরামের ঘুম আপনাকে পরদিন বেশ ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করে। ঘুম নিয়মিত হলে আপনি যেকোনো কাজে অধিক মনোযোগী হতে পারবেন।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কোনো কারণে এর কম সময় ঘুমালে এবং তা যদি নিয়মিত হয়, তবে তা শরীরের জন্য খারাপ। তাই বলে বেশি ঘুম কি শরীরের জন্য ভালো?

এমন অনেকেই আছেন যারা প্রতিরাতে নয় ঘণ্টার ওপর ঘুমান। অনেকেই আবার রাতে শোয়ার পর বেলা করে ঘুম থেকে ওঠেন। ফলে সব মিলিয়ে নয় ঘণ্টার ওপর ঘুম হয়েই যায়। অধিকাংশই মনে করেন, বেশি ঘুম মানে বেশি ঝরঝরে থাকা, ভালো থাকা। কিন্তু এই অতি বিশ্রামে লুকিয়ে আছে বিপদ। গবেষকরা তাই বলছেন।

গবেষকরা বলছেন যারা নয় ঘণ্টার ওপর প্রাত্যহিক ঘুমে অভ্যস্ত তাদের স্ট্রোকের সম্ভাবনা ২৩ শতাংশ বেশি থাকে। আবার অনেকে দুপুরে পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে থাকেন। সহজ কথায় দুপুরে একটু বিছানায় গড়িয়ে নেওয়া। অনেকে মনে করছেন পাওয়ার ন্যাপ নিলে নতুন করে দেহে এনার্জি সঞ্চারিত হয়। কিন্তু তা আসলে ঠিক নয়।

Advertisement

গবেষকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন দুপুরে ন্যাপ নিতে গিয়ে যারা দেড় ঘণ্টা ঘুম দেন তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়।

ঘুমের জন্য সঠিক সময় ঠিক কতক্ষণ? গবেষকরা বলছেন ৭ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রাত্যহিক ঘুম শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী।

চিনের গবেষকরা জানাচ্ছেন অতি ঘুম বা ন্যাপ নেওয়া মানুষের দেহে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। তাঁদের কোমর চওড়া হতে থাকে। যা হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

নয় ঘণ্টার ওপর প্রাত্যহিক ঘুম বা দুপুরের ন্যাপের সঙ্গে ঠিক কীভাবে স্ট্রোকের সম্ভাবনা জড়িয়ে আছে তা জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

Advertisement

এইচএন/এমএস