পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান বলেছেন, পুলিশের রুটিন কাজের বাইরে গিয়ে পিছিয়ে পড়া বেদে ও হিজরা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। অনুরূপভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর শিশুদের সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে তাদের জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষাসহ নানা বিষয়ে কাজ করা হবে।
Advertisement
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর শিশুদের স্কুলব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে জন্ম নেয়া শত শত শিশু শিক্ষাসহ সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত। সে বিবেচনায় এ সকল শিশুর জীবনমান উন্নয়নে এখনই কাজ শুরু না করলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন কঠিন হবে। যৌনপল্লীতে জন্ম নেয়া শিশুদের কি কোনো অপরাধ আছে? অন্য আর দশটি শিশুর মত কেন তারা বেড়ে ওঠার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। তাই আমাদের যার যার অবস্থান থেকে তাদের জীবনমান উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের সর্বস্ব বিকিয়ে দেয়া টাকায় যাতে কেউ ভাগ বসাতে না পারে, সে জন্য আমার পুলিশ সদস্যরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আপনাদের পাশে থাকবে পুলিশ।
Advertisement
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যে মধ্যে বক্তব্য দেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ উজ জামান, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান চৌধুরী, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন গেদু, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম, অবহেলিত মহিলা সমিতির সভাপতি ঝুমুর আক্তার, যৌনপল্লীর শিশু ফারহান আহমেদ ইয়াসিন প্রমুখ।
এ সময় দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর তিন শতাধিক শিশুর হাতে স্কুল ব্যাগসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ তুলে দেয়া হয়। এরপর অতিথিরা যৌনপল্লীর শিশুদের জন্য মুক্তি মহিলা সমিতি আয়োজিত মুসলিম চ্যারিটি (ইউকে) অ্যান্ড ডে-কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
রুবেলুর রহমান/আরএআর/এমএস
Advertisement