খেলাধুলা

জোড়া সেঞ্চুরিতে ভারতকে উড়িয়ে দিলো অস্ট্রেলিয়া

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল তারা টেস্টে। কিন্তু ভারতের মাটিতে এসে ওয়ানডেতেও এতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠবে অসিরা, সেটা কে ভাবতে পেরেছিল? মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে বিরাট কোহলিদের ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।

Advertisement

জোড়া সেঞ্চুরি অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারের ব্যাটে। ডেভিড ওয়ার্নার এবং অ্যারোন ফিঞ্চ। জয়ের জন্য ২৫৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেটই হারায়নি অসিরা। বিনা উইকেটেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়ার্নার-ফিঞ্চরা। তাও মাত্র ৩৭.৪ ওভারে (৭৪ বল হাতে রেখে)।

১১২ বলে ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। এটা আবার তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৮তম সেঞ্চুরি। দুর্দান্ত এই ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতে নেন তিনি। অসি অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ অপরাজিত থাকেন ১১৪ বলে ১১০ রান করে। তার ইনিংসে ১৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ২টি ছক্কার মার।

এর আগে টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। অসি পেসারদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে এক শিখর ধাওয়ান ছাড়া দাঁড়াতে পারেনি আর কেউ। ফলে, মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৪৯.১ ওভারে ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায় বিরাট কোহলির দল।

Advertisement

দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে শিখর ধাওয়ানই কেবল মাথা তুলে দাঁড়াতে পারলেন অসি বোলারদের সামনে। ৯১ বলে ৭৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন শিখর। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন লোকেশ রাহুল।

অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা এমনিতেই ছিলেন ফর্মে। এবার ভারতের মাটিতে এসেও ফর্মের তুঙ্গে থাকার ইঙ্গিত দিলেন তারা। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক কিংবা কেন রিচার্ডসন- এই তিনজন মিলেই নেন ৭ উইকেট। স্টার্ক নেন ৩ উইকেট। কামিন্স এবং রিচার্ডসন মিলে নেন ২টি করে উইকেট। অ্যাডাম জাম্পা এবং অ্যাস্টন অ্যাগার নেন ১টি করে উইকেট।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মিচেল স্টার্কের তোপের মুখে পড়ে ভারত। ১০ রান করে স্টার্কের বলে ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। এরপর ধাওয়ান এবং লোকেশ রাহুল মিলে ১২১ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ১৩৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৭ রানে আউট হয়ে যান লোকেশ রাহুল।

এরপরের ব্যাটসম্যানরা খুব একটা দাঁড়াতে পারেননি। বিরাট কোহলি ১৬, স্রেয়াশ আয়ার ৪, রিশাভ পান্ত ২৮, রবীন্দ্র জাদেজা ২৫, শার্দুল ঠাকুর ১৩, মোহাম্মদ শামি ১০ এবং কুলদ্বিপ যাদব আউট হন ১৭ রান করে। বুমরাহ অপরাজিত থেকে যান কোনো রান না করেই।

Advertisement

আইএইচএস/এমএস