স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগ। তাই এর উৎপাদন, ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইনও করেছে সরকার। এরপরও পালিথিনের অবাধ ব্যবহার কমেনি। ফলে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিরুৎসাহিতের লক্ষ্যে এর উৎপাদনের কাঁচামাল (প্লাস্টিক দানা) আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠিতে দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
Advertisement
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রতি সদ্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বদলি হওয়া সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহাসিন চৌধুরী জাতীয রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে সচিব বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধন-২০১০) অনুযায়ী সরকার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, বিপণন, আমদানি, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য মজুদ, বিতরণ, পরিবহন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘দশম জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩১তম সভায় পলিথিন উৎপাদন, প্যাকেজিং ও পলিথিনের শপিং ব্যাগ ব্যবহার রোধে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণে সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পলিথিনের মোড়ক ব্যবহার করে পণ্য বাজারজাতকরণের ওপর ‘ইকো-ট্যাক্স’ আরোপে উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।’
Advertisement
‘পরবর্তীতে ৪৪তম সভায় অবৈধ পলিথিন ব্যবহার হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা পালনে পলিথিনের কাঁচামাল আমাদনিতে কড়াকড়ি আরোপের সুপারিশ করা হয়।’
এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে গত ৫ আগস্ট আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকে উৎসাহিতের জন্য প্লাস্টিক দানার আমদানির ওপর শুল্ক বা কর বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ এবং এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
চিঠিতে সচিব আরও বলেন, ‘পলিথিন বর্জ্যের দ্বারা ভায়াবহ পরিবেশ দূষণের বিষয়টি বিবেচনা করে পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে পলিথিন ব্যবহার নিরুৎসাহিতের লক্ষ্যে পলিথিন উৎপাদনের কাঁচামাল প্লাস্টিক দানার আমদানির উপর শুল্ক বা কর বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এমইউএইচ/এএইচ/পিআর
Advertisement