জাতীয়

এখনো সিজারের মরদেহ চায়নি ইতালিয়ান দূতাবাস

গুলশানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ইতালিয়ান নাগরিক তাবেলা সিজাররের মরদেহটি এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হিমঘরে রয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ৭ দিন অতিবাহিত হলেও ইতালিয়ান দূতাবাসের পক্ষ থেকে মরদেহ চাওয়া হয়নি।  এর আগে, সোমবার ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশান-২ এ সিজারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন রাতেই মরদেহ থেকে আলামত সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য একে ঢামেক মর্গে পাঠায় গুলশান থানা পুলিশ। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, হস্তান্তরের জন্য মরদেহ প্রস্তুত রয়েছে। তবে ইতালিয়ান দূতাবাসের পক্ষ থেকে মরদেহ গ্রহণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি। সিজারের পরিবারের পক্ষ থেকেও এখনো কেউ মরদেহ ক্লেইম করেনি। ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ মোজাম্মেল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ (রোববার) সকালে ইতালিয়ান দূতাবাস থেকে একজন ফোন করে মরদেহের খোঁজ খবর নিয়েছেন। তিনি ইংরেজিতে মরদেহের খোঁজ খবর জানতে চান। পাশে থাকা আরেক বাংলাদেশি মহিলা সেগুলো বাংলায় ভাষান্তর করেন। গত পরশু (শুক্রবার) ইতালিয়ান দূতাবাসের আরেকজন ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন যে মরদেহটি ঢামেকে আছে কিনা। তবে তাদের কেউ মরদেহ নেয়ার কথা বলেননি।’ দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রমাণ, অনুমতিপত্র ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র নিয়ে এলেই গুলশান থানা পুলিশের সামনে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান মোজাম্মেল হক। একই কথা বলেন সিরাজুল ইসলাম। এদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূত মারিও পালমার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে দূতাবাসের ফোনে কল করলে সেখানকার একজন অপারেটর amb.dhaka@esteri.it ঠিকানায় রাষ্ট্রদূতকে ইমেইল করতে বলেন। রোববার দুপুরে দূতাবাসকে ইমেইল করা হলেও মরদেহটি গ্রহণের বিষয়ে কোন উত্তর দেয়নি তারা। এদিকে এক সপ্তাহ পার হলেও সিজার হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সংস্থা। তবে হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে থাকা তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। এআর/এসএইচএস/পিআর

Advertisement