ইরানের রাজধানী তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দরে গত বুধবার ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির বিচার বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
তেহরানের বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ১৭৬ জন আরোহী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেইন ইসমাইল মঙ্গলবার বলেন, ওই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বা তাদের পরিচয় জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিশেষ আদালত গঠন করা হবে। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে গত বুধবার ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় তেহরানে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়।
Advertisement
প্রথমদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিজের দোষের কথা স্বীকার না করলেও দুর্ঘটনার তিনদিন পরে এর দায় নেয় ইরান। তবে তেহরান বলছে, ভুলবশত ওই বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, কয়েক ডজন বিচারপতি এবং বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি বিশেষ আদালত গঠন করবে বিচার বিভাগ। তিনি বলেন, এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। সারাবিশ্ব এই আদালতকে দেখবে। এই ঘটনাকে দুঃখজনক এবং ক্ষমার অযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন রুহানি।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে রওনা করেছিল বিমানটি। এতে ১৬৭ জন যাত্রী এবং নয়জন ক্রু সদস্য ছিল। ওই দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা অধিকাংশ আরোহীই ইরানি এবং ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক।
নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন কানাডীয়, ১০ জন সুইডেনের, চারজন আফগানিস্তানের, তিনজন জার্মানির এবং তিনজন ব্রিটেনের নাগরিক। অপরদিকে নয় ক্রুসহ ১১ জন ইউক্রেনের নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহত আরোহীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও ছিল।
Advertisement
টিটিএন/এমএস