টেলিভিশনের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী রেশমি দেশাই। গ্ল্যামার দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে চলেছেন তিনি। ‘উত্তরণ’ সিরিয়াল থেকে তার জনপ্রিয়তা শুরু। এরপর ধারাবাহিক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজের অভিনয় প্রতিভাকে বিকশিত করেছেন তিনি। অভিনেত্রীর নাম রেশমী।
Advertisement
বলিউডে সফল একজন তরুণ অভিনেত্রী হিসেবে তার নাম উচ্চারিত। কিন্তু এই গ্ল্যামারাস সাফল্যের পেছনের গল্পটা অনেক বেদনার। সেখানে লুকিয়ে আছে অভিশপ্ত অতীত, যা ভুলতে পারেন না তিনি কখনোই।
রেশমী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, শুধু মেয়ে বলে দিনের পর দিন গঞ্জনা শুনতে হয়েছে তাকে। মেয়ের জন্ম দিয়েছেন বলে তার মাকে অভিশাপ দেওয়া হতো রোজ। এমন কঠিন সময়ে পাশে থাকার বদলে তার বাবা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল।
নিজের জীবনে বাবার অস্তিত্বও মনে করতে পারেন না রেশমি। চরম হতাশা, একাকিত্ব ঘিরে ফেলেছিল তাকে। বয়ঃসন্ধির সময়ে মেয়ে হওয়ার লজ্জা সইতে না পেরে নিয়েছিলেন চরম এক সিদ্ধান্ত। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন।
Advertisement
১৩তম বিগবসে অংশ নিয়েছেন তিনি। সেখানেই নিজের জীবনের সেই অন্ধকার সময়ের কথা উল্লেখ করেন রেশমী।
সম্প্রতি ‘ছপাক’ সিনেমার প্রচারের জন্য দীপিকা, বিক্রান্ত ছাড়াও যাকে কেন্দ্র করে ফিল্মের গল্প, সেই লক্ষ্মী আগরওয়াল এসেছিলেন বিগবসের ঘরে। সেখানেই লক্ষ্মীর জীবনের নানা সংগ্রামের কথা শুনতে শুনতে নিজের জীবনের নানা অজানা তথ্য মেলে ধরেন রেশমী।
রেশমী জানান, গরিব পরিবারে জন্মেছিলেন তিনি। পরিবারের সবাই চেয়েছিলেন যাতে পুত্রসন্তান হয়। তাই রেশমীর জন্মের পর অখুশি হয়েছিলেন সবাই। তার মাকে শুনতে হয়েছিল নানা গঞ্জনা। তার বাবাও তাদের সঙ্গে থাকতেন না। নিজেকে ক্রমশ পরিবারের বোঝা মনে হতে থাকে রেশমীর। এমন একটা পরিস্থিতিতে আর সহ্য করতে না পেরে ওই চরম পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু রেশমীর এক আত্মীয় তার পাশে ছিলেন। তিনিই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বাঁচান রেশমীকে। অভিশপ্ত ছেলেবেলা কাটানো সেই মেয়েটাই আজ নিজের ক্যারিয়ারে যথেষ্ট সফল। তিনি যে বাস্তবে একজন যোদ্ধা, সেকথা বলাই যায়। রেশমীর এই গল্প বিগবসের মানুষ ও অতিথিদের তো বটেই, তার ভক্ত অনুরাগীদেরও অনুপ্রাণিত করছে।
Advertisement
এলএ/এমএস