বাংলাদেশে ব্যতিক্রম পরিবার এটি। সবাই ভাগ্যবান যে পরিবারের। পারিবারিকভাবেই পেয়েছেন ব্যাংকের পরিচালকের পদ। এটি আর কারো পরিবার নয়। বিশিষ্ট শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদারের পরিবার। তিনিসহ তার পরিবারের ৫ জনই ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকের পদে আসীন। আঁকড়ে রেখেছেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদও। অথচ ব্যাংক কোম্পানি আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এটি। কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে এই পরিবার। সূত্র জানিয়েছে, ২০১৩ সালের ২২ জুলাই গেজেট আকারে জারি হয় সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন। আইনটি কার্যকর হয় ২০১৪ সালের ২২ জুলাই। আইনে বলা আছে, আইনটি কার্যকরের এক বছরের মধ্যে একই পরিবারের দুই জনের বেশি পরিচালক থাকলে তাদের বিদায় নিতে হবে। সে হিসেবে ২০১৪ সালের ২২ জুলাই এর মধ্যে পরিচালকের পর থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়ার কথা ছিল জয়নুল হক সিকদারের পরিবারের ৩ সদস্যকে। কিন্তু আইন পরিপালন করছে না জয়নুল হক সিকদার পরিবার।সূত্র বলছে, ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন জয়নুল হক সিকদার নিজে। ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে রয়েছেন তার স্ত্রী মনোয়ারা হক, মেয়ে পারভীন হক সিকদার, ছেলে রিক হক সিকদার ও রক হক সিকদার। এর মধ্যে, পারভীন হক সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান।বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পারভীন হক সিকদার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। রিট চলছে। রিটের পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।সূত্র বলছে, বেসরকারি খাতের এই ব্যাংকটি একটি পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে। তাদের পারিবারিক ব্যাংক যেন এটি। জয়নুল হক সিকদার পরিবারের সিদ্ধান্তের বাইরে এখানে কোন সিদ্ধান্ত হয় না। ঋণ মঞ্জুর থেকে ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রম সব চলে তাদের ইশারায়। ব্যবসায়িক দাপট আর রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অন্য কেউ এখানে কিছুই বলতে পারেন না।এসএ/আরএস/এসএইচএস/পিআর
Advertisement