বহুল আলোচিত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় দ্বিতীয় তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা গ্রেফতারকৃত সকল আসামির উপস্থিতিতে ২য় দিনে শিশু রাজনের মা লুবনা বেগমসহ তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এই তিনজন ছাড়াও আজ আরো ২ জন আদালতে সাক্ষ্য দিবেন বলে জানিয়েছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী। রোববার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবশিষ্ট দুজন সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন। এর আগে গত ১ অক্টোবর রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান ওরফে আলম ও মামলার বাদী বরখাস্তকৃত এসআই আমিনুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন।মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ উপলক্ষে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা ১০ জন আসামিকে রোববার আদালতে হাজির করা হয়। এরা হলেন, শহরতলির কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মুহিত আলম ওরফে মুহিত (৩২), তার সহোদর আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪), চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না (৪৫), টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের বাসিন্দা ও ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নূর মিয়া (২০), দুলাল আহমদ (৩০), আয়াজ আলী (৪৫), তাজউদ্দিন বাদল (২৮), ফিরোজ মিয়া (৫০), আছমত আলী ওরফে আছমত উল্যাহ (৪২) ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেলকে (২৫)।এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর পলাতক আসামি সৌদি প্রবাসী কামরুলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে চার্জগঠন করা হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুলসহ ৩ জন পলাতক রয়েছেন।আগামী ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টেবর মামলার পরবর্তী আরো ৭টি তারিখে লাগাতার সাক্ষ্য গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলার মোট ৩৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।গত ৩১ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ পলাতক ৩ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় সীমার মধ্যে পলাতকরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত বিচারিক কাজ শুরুর লক্ষ্যে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠান।প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ছামির মাহমুদ/এসএস/আরআইপি
Advertisement