আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, দেশে শিক্ষিত সচেতন সাংবাদিকদের মাধ্যমে গণমাধ্যম প্রসারের ফলে আদালত অবমাননা আইন তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, শিগগিরই জাতীয় সংসদে এই সংক্রান্ত আইন পাস করার জন্য আইন উত্থাপন করা হবে।শনিবার দুপরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলয়নায়তনে ‘বিচার বিভাগীয় রিপোর্টিং’ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম এ কর্মশালার আয়োজন করে।মন্ত্রী বলেন, আদালত অবমাননার একটা আইন থাকা উচিত। আগের আইন অচল হয়ে গেছে। দেশের গণমাধ্যমের প্রসারের ফলে এ আইনটি দ্রুত করা প্রয়োজন। আশা করি সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আাদলত অবমাননা আইন জাতীয় সংসদে পাস করতে পারবো।তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ বিচার বিভাগের মর্যাদা সম্মান দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন করতে সংবাদ কর্মীরা ভূমিকা পালন করবে। আপনারা দায়িত্বশীলতার উদাহরণ সৃষ্টি করবেন। যাতে করে আমরা আইনের শাসনের মধ্যে থাকতে পারি।আনিসুল হক বলেন, আইন সাংবাদিকতা একটি হার্ড টাস্ক (কঠিন কাজ)। কারণ অন্যক্ষেত্রে ভুল করলে পরের দিন সংশোধনী ছাপানো যায়। কিন্তু আদালতের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। ভুল সংবাদ দিলে পরের দিন আদালত অবমাননার মুখে পড়তে হয়। এ জন্য সচেতনভাবে এ বিটে কাজ করতে হয়।২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ পাস হয়। ১৯২৬ সালের আদালত অবমাননার আইন রহিত করে ২৩ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশিত হয়। আইনের ৪, ৫, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৩(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ মার্চ দুই আইনজীবী রিট আবেদনটি করেন। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একই সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ অবৈধ ঘোষণা করেন।ল’ রিপোটার্স ফোরামের সভাপতি এম বদি-উজ-জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনজীবী আহসানুল করীম, সাংবাদিক ফারুক কাজী, কাজী আব্দুল হান্নান, শহীদুজ্জামান, সালেহ উদ্দিন, আশরাফ উল আলম ও জাহিদ হোসন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ হিরণ।এফএইচ/এসএইচএস/এমএস
Advertisement